দাম কমে আবার চড়া বাজার

বেড়েছে বেগুন, শিম, কাঁচামরিচ আলু, ছোলা ও ভোজ্যতেলের * দাম কমেছে লেবু, শসা, টমেটো ও সোনালি মুরগির

0
134
আবার চড়া বাজার

বাজারে নিত্যপণ্যের দরে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত আচরণ। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে দু-এক দিন কিছুটা কম দামে বিক্রি হয়েছিল বেশ কিছু পণ্য। তবে দাম কমার সেই ধারা টিকছে না। সীমিত আকারে আবারও বেড়েছে কয়েকটি পণ্যের দাম। এ তালিকায় রয়েছে বেগুন, শিম, কাঁচামরিচ, আলু, ছোলা ও ভোজ্যতেল। যদিও লেবু, শসা, টমেটো ও সোনালি জাতের মুরগির দাম আরও কমেছে। অন্যদিকে, দামে রেকর্ড গড়া ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমলেও এখনও বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পণ্যের দামের উত্থান-পতন নির্ভর করে জোগানের ওপর। জোগান কমলে চাহিদা বাড়ে, যা দামকে উস্কে দেয়। আর চাহিদায় ভাটা পড়লে বিক্রি কমে, দাম পড়ে যায়। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. দুলাল বলেন, কাঁচামাল (সবজি) ধরে রাখা যায় না। তাই কেনার পর বিক্রি করে দিতে হয়। পাইকারি পর্যায়ে সবজির জোগান কমে গেলে দাম বেড়ে যায়। আবার বেশি এলে দাম কমে যায়। সবজি বাজার এই নিয়মেই চলে।

ভোক্তারা বলছেন, কয়েকটি পণ্যের দাম কমলেও ক্রেতাদের পুরোপুরি স্বস্তি মেলেনি। মহাখালী কাঁচাবাজারে ক্রেতা মো. জাকারিয়া বলেন, ‘দাম অনেক বেড়ে সামান্য কমলে সেটাকে কম বলা যায় না। ছোলা, তেল তো আবার বাড়ছে। এগুলো বলে কী লাভ? যে লাউ সেই কদু।’

অন্য বছরের মতো এবারও রোজার আগে অস্বাভাবিক বেড়েছিল নিত্যপণ্যের দাম।

প্রায় দেড় মাস টানা দাম বেড়েছিল ব্রয়লার মুরগির। এক পর্যায়ে দামের রেকর্ড গড়ে ব্রয়লার। ভোক্তা অধিদপ্তরের নানা উদ্যোগে গত সোমবার বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে। তবে গতকাল কিছুটা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২১৫ টাকা দরে। যা সপ্তাহখানেক আগে বিক্রি হয়েছিল ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। সোনালি মুরগি দু’দিন আগে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম আরও কিছুটা কমেছে।

ছোলার কেজি মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও রোজা শুরুর পর দাম ৮৫ টাকায় নামে। তবে এখন কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা। এ ছাড়া ভোজ্যতেলের দামেও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়ে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায়। একইভাবে ৫ টাকা বেড়ে পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা।

অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া কয়েকটি সবজির দাম দু’দিন আগে কিছুটা কমেছিল। তবে গতকাল আবার সেসব সবজি আগের দরে ফিরেছে। ৮০ টাকা থেকে কমে দু’দিন আগে বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন আবার ৬৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্ধেক দাম কমে শিমের কেজি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। দু’দিন পর আবার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গত মঙ্গলবার কাঁচামরিচের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল ক্রেতাকে কিনতে হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এ ছাড়া আগের মতোই ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ থেকে ৭০, পটোল ও করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে কয়েকটি সবজির দামে রয়েছে কিছুটা স্বস্তির খবর। এর মধ্যে শসা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। যা চার-পাঁচ দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আরও কমে আকারভেদে লেবুর হালি ২৫ থেকে ৫০ টাকা এবং টমেটোর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.