জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, দখলদার শক্তি হওয়ায় নিজেদের আত্মরক্ষার কোনো অধিকার নেই ইসরায়েলের। গত বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জরুরি ভিত্তিতে ডাকা বিশেষ অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘে রুশ প্রতিনিধি বলেন, ‘তারা একমাত্র যে কাজ করতে পারে, তা হলো ইসরায়েলকে কথিত আত্মরক্ষার কথা বলতে থাকা। যদিও ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের বিশেষজ্ঞ মত অনুযায়ী, একটি দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার নেই।’
তবে ইসরায়েলের নিজেদের ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করা’ এবং ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই’ করার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভাসিলি নেবেনজিয়া। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার নিশ্চিতের অধিকারকে মরা স্বীকৃতি দি। এই নিরাপত্তা তখনই পুরোপুরি নিশ্চিত হবে, যদি আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন ইস্যুর সমাধান করি।’
এই কূটনীতিক বলেন, ইহুদিরা শত শত বছর ধরে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। তাই ইহুদিদের অন্য সবার এটা ভালো জানা উচিত যে সাধারণ মানুষের দুর্দশা ও প্রতিশোধের নামে তাদের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। মৃতেরা ফিরে আসবে না, কিংবা তাদের পরিবারকেও সান্ত্বনা দেওয়া যাবে না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সেদিন থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল বাহিনী। সম্প্রতি উপত্যকাটিতে স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা। ইসরায়েল বলছে, নিজেদের আত্মরক্ষায় তাদের এই হামলা। একই ভাষ্য দেশটির পশ্চিমা অনেক মিত্রের।