থানচিতে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কেএনএফ: র‌্যাব

0
200
থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি এলাকা (ছবি-সংগৃহীত)

থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া গোলাগুলি চলছে। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা থেকে গোলাগুলি শুরু হয়েছে। দুপুর ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি চলছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে। গুলির ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা র‌্যাব অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার ইমরান খান বলেন, ভোরের দিকে জঙ্গিদের সঙ্গে র‌্যাবের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। জঙ্গিদের সঙ্গে পাহাড়ের একটি সন্ত্রাসী দলও যোগ দিয়েছে। এই ঘটনার বিস্তারিত জানাতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, থানচি ও রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী রেমাক্রি এলাকার একটি ব্রিজের আশপাশে জঙ্গিদের অবস্থান রয়েছে। এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর পাচটার দিকে র‌্যাবের একটি দল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে র‌্যাবের ওপর জঙ্গিরা গুলি চালায়। জঙ্গিদের প্রতিহত করতে পাল্টা গুলি চালায় র‌্যাব। উভয়ের মধ্যে গোলাগুলি ঘটনার কিছুক্ষণ পর জঙ্গিদের সহযোগিতা করতে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সশস্ত্র দলের সদস্যরা তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর গোলাগুলি আরও ব্যাপক আকারে বাড়তে থাকে।

সকাল সাড়ে আটটার দিকে র‌্যার আরও জোরালো আক্রমণ করলে পিছু হতে থাকে জঙ্গি ও কেএনএফ। দল থেকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় জঙ্গি ও কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যরা। থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তারা তেমন কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। তারা বলছেন, গোলাগুলির ঘটনা শুনেছেন তবে প্রকৃত কি ঘটনা চলছে বা হচ্ছে এখনো কিছু জানেন না।

থানচি উপজেলা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী রেমাক্রি প্রাংসা এলাকায় যেখানে র‌্যাবের সঙ্গে জঙ্গি-কেএনএফের গোলাগুলির ঘটনা চলছে পাঁয়ে হেঁটে সেখানে যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় রেমাক্রি এলাকা নিরাপদে ভেবে অবস্থান নেয় জঙ্গি ও কেএনএফ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.