ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) এক অধ্যাপকের কাছে থিসিস জমা দিতে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এ বিষয়ে তিনি ব্র্যাকের প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীর অভিভাবকসহ ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান এবং আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করেছে। অভিযুক্ত অধ্যাপক ওয়াসেল বিন সাদাত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কোর্সের এক্সটার্নাল হিসেবে দায়িত্বরত। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এ রকম একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এসব বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।’
অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, অধ্যাপক ওয়াসেল তাঁর থিসিস সুপারভাইজার। থিসিসের বিষয়ে গত ১৫ আগস্ট ওয়াসেল তাঁকে আইবিএতে দেখা করতে বলেন। ছুটির দিন এবং যাতায়াতে সমস্যার কথা জানিয়ে ফোনে ওই ছাত্রী ১৬ আগস্ট দেখা করার অনুরোধ করেন। তবে ওয়াসেল ছাত্রীকে বলেন, ‘থিসিসের বিষয়ে তিনি খুবই সিরিয়াস, ১৫ আগস্টেই আসতে হবে।’
ছাত্রী অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি যথাসময়ে আইবিএ ক্যাম্পাসে তাঁর কক্ষে গিয়ে দেখা করি। এ সময় তিনি অত্যন্ত অমার্জিত আচরণ করতে শুরু করেন। এর পর তিনি আমাকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে হ্যারাস (হয়রানি) করেন। পুরো ভবন খালি থাকায় তিনি চাইলে আমার আরও ক্ষতি এবং উত্ত্যক্ত করতে পারেন আশঙ্কা করে পুরো পরিস্থিতির মধ্যে যতটা সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি। এরপর আমি বাসায় চলে আসি।’ শারীরিক হয়রানি বলতে বোঝায়, কারও শরীর অযাচিতভাবে স্পর্শ করা।
ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, ‘আমি বাসায় আসার পর অধ্যাপক ওয়াসেল আমাকে ফোন করে বলেন, আমি আশা করি, তুমি বিষয়গুলো খুব সিরিয়াসলি নেবে না।’ কথার কলরেকর্ড প্রমাণ হিসেবে তাঁর কাছে রয়েছে জানিয়ে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তাঁর পরিবার বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘আমরা অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ওয়াসেল বলেন, ‘শুধু এতটুকু বলতে পারি, আমি অপরাধী নই। আমি আসলে এ বিষয়ে কিছুই জানি না। অনেক রকমের রাজনীতি চলে, আমাকে আগে বুঝতে হবে।’