ভারতের শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ট্রাভেল পাস পেয়েছেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে ভারতের গোহাটি বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে তাঁকে ট্রাভেল পাস দেওয়া হয়।
সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ ২০১৫ সাল থেকে ভারতের শিলংয়ে রয়েছেন। অনুপ্রবেশের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলায় খালাস পাওয়ার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে- তিনি যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সোমবার রাতে তিনি ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন। এটি ৮ জুন ইস্যু করা হয়েছে। এখন ভারতে কিছু আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে যা সম্পন্ন করবেন তিনি। একই সঙ্গে শারীরিক পরীক্ষা করাবেন।
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য জানান, ৫ বছর তিনি শিলংয়ের বাইরে যেতে পারেননি। এ কারণে চিকিৎসার ফলোআপ করাতে পারেননি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় কোথাও যেতে পারেননি। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সেখানে তাঁর কিডনি ও ঘাড়ের দুটি অপারেশন হয়। তারও আগে বাংলাদেশে তাঁর হার্টে তিনটি রিং বাসানো হয়। এর বাইরে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে তিনি আক্রান্ত। সবকিছুর ফলোআপ করাতে চান বিএনপির এই নেতা।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ।
একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু ওই মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পাওয়ার পর সরকার পক্ষ আপিল করে। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তিনি শিলং জজ কোর্ট থেকে খালাস পান। এ কারণে তাঁর দেশে আসায় কোনো বাধা নেই।
পাসপোর্ট না থাকায় সালাহউদ্দিন আহমেদ পরে দেশে ফিরতে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গোহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে আবেদন করেন।