ইংল্যান্ডে চালু হওয়া ১০০ বলের ক্রিকেট ‘দ্য হান্ড্রেড’ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিশ্বজুড়ে ১২০ বলের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে, এক শ বলের ক্রিকেটে তার ধারেকাছে সাড়াও মিলছে না। তাই শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টির কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে দ্য হান্ড্রেড। এ বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) তত্ত্বাবধানে দ্য হান্ড্রেড নামের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট চালু হয় ২০২১ সালে। যুক্তরাজ্যের শহরভিত্তিক আটটি দল নিয়ে এরই মধ্যে দুটি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর বার্ষিক ২২ কোটি পাউন্ডে এর সম্প্রচার স্বত্ব কিনেছে স্কাই স্পোর্টস, যার মেয়াদ ২০২৮ পর্যন্ত। দীর্ঘ মেয়াদের সম্প্রচার চুক্তি টুর্নামেন্টের স্থিতিশীলতার লক্ষণ হলেও এ বিষয়ে ভিন্ন তথ্য জানিয়েছে মেইল স্পোর্ট।
সংবাদমাধ্যমটি নিজস্ব সূত্রে জানিয়েছে, ১০০ বলের ক্রিকেট চালু রাখা নিয়ে ভাবছে ইসিবি। কারণ, এখন পর্যন্ত এটি যুক্তরাজ্যের বাইরে সাড়া ফেলতে পারেনি।
কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জগৎ দিন দিন বেড়ে চলেছে।
দ্য হান্ড্রেডে বাবর আজমকে পেতে অ্যান্ডারসন যা করতেন
আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানে নিয়মিতই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজিত হচ্ছে। চলতি বছর থেকে চালু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর ইংল্যান্ডেই ১৮টি প্রথম শ্রেণির কাউন্টি নিয়ে আয়োজিত হয় টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট।
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোযোগী অন্যান্য দেশও। যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত এ বছরই আইএলটি-টোয়েন্টি চালু করে দিয়েছে। আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চালু হওয়ার কথা মেজর লিগ ক্রিকেট। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবও টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর পরিকল্পনা করছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর এসব কিছুর মধ্যে টি-টোয়েন্টির জন্য ক্রিকেটারদের ফ্রিল্যান্সার হয়ে যাওয়ার আলোচনাও গতি পাচ্ছে।
মেইল স্পোর্টস জানিয়েছে, ২০২৫ সালের আগে দ্য হান্ড্রেডে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে ন্যাশনাল কাউন্টি দলগুলোকে (সাবেক মাইনর কাউন্টি) ১৮টি প্রথম শ্রেণির দলের সঙ্গে যুক্ত করে একটি সম্প্রসারিত প্রতিযোগিতার কথা ভাবছে ইসিবি, যাতে প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটাররা পেশাদার জগতে প্রবেশের পথ পান।
সে ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট হবে দুই লিগের প্রতিযোগিতা, থাকবে উত্তরণ ও অবনমন। তবে বিষয়টিতে প্রথম শ্রেণির কাউন্টি দলগুলোর সম্মতি লাগবে। কীভাবে তাদের রাজি করানো যায় কিংবা অন্য কোনো উপায় বের করা যায় কি না, ভাবছে ইসিবি।
এ মাসের শুরুতে উস্টারশায়ারের চেয়ারম্যান ফানোস হিরার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, দ্য হান্ড্রেডের প্রথম দুই মৌসুমে ৯০ লাখ পাউন্ড ক্ষতি হয়েছে, যা ইসিবি কর্তৃক কাউন্টি ও এমসিসিকে দেওয়া আড়াই কোটি পাউন্ডের বাইরে। ইসিবি অবশ্য ১ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড আয়ের দাবি করেছে বলে জানিয়েছে মেইল স্পোর্ট।