রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন অস্ট্রিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন কেনাইসেল। সঙ্গে নিয়েছেন তাঁর দুটি ঘোড়া। সম্প্রতি রুশ সামরিক বাহিনীর পরিবহন উড়োজাহাজে করে সিরিয়া থেকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে পৌঁছেছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণাকেন্দ্র জিওপলিটিক্যাল অবজারভেটরি ফর রাশিয়াস কি ইস্যুজের (গোর্কি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কারিন কেনাইসেল। চলতি বছরেই এই গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর লক্ষ্য রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া।
এর আগেও সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী কারিন কেনাইসেল। ২০১৮ সালে নিজের বিয়েতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে দুজনের নাচের ছবিও সামনে এসেছিল। এর পরের বছরই সরকার থেকে সরে দাঁড়ান কেনাইসেল।
সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, কারিন কেনাইসেল অস্ট্রিয়ায় বেশ বিতর্কিত। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি নিজ দেশ ছেড়ে ফ্রান্সে চলে যান। এরপর সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডের একজন অতিথি কলাম লেখক হিসেবে পরিচয় গড়ে তোলেন। এই সংবাদমাধ্যমটিকে রুশ সরকারের প্রচারণা চালানোর একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখা হয়।
তবে ফ্রান্স ছাড়তে তাঁর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন কারিন কেনাইসেল। বিবিসির খবরে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, এ কারণে সাময়িকভাবে লেবাননে বসবাস করা শুরু করেন। পরে সেখান থেকে সিরিয়া হয়ে রাশিয়ায় পাড়ি জমান। দেশটিতে শিক্ষাদানের কাজে যোগ দেবেন তিনি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস কারিন কেনাইসেলের বরাতে জানায়, গোর্কি গবেষণাকেন্দ্রের সহপ্রতিষ্ঠাতা কেনাইসেল। সেখানে গবেষণা–সংশ্লিষ্ট অনেক কাজ রয়েছে। এ কারণে কাজে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। যেনতেনভাবে এটা করা যাবে না। তাই সেন্ট পিটার্সবার্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।