ভারতের গুজরাট রাজ্য আর পাকিস্তানের করাচি উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে দেশ দুটি।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাবে ইতিমধ্যে ভারতের মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস বেড়ে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ গুজরাটের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এবং পাকিস্তানের করাচির মাঝামাঝি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে বসেন। সন্ধ্যায় কথা বলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে। আজ মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপরই গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায় ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করা হয়। বৈঠকে সবাইকে সতর্ক করে বলা হয়, এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ব্যাপক।
ইতিমধ্যেই কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রের উপকূলবর্তী ১০ কিলোমিটার এলাকা থেকে ৮ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিভিন্ন বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়াতে সরকার সচেষ্ট। অধিকাংশ জেলে সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে গতকাল মুম্বাই বিমানবন্দর বেশ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। বহু ট্রেনের যাত্রাও বাতিল করা হয়েছে বলে রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। অনেক ট্রেনের যাত্রাপথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জিও নিউজের খবরে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি এড়াতে আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রায় এক লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) চেয়ারম্যান লে. জেনারেল হায়দার মালিক মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শেরি রহমান বলেছেন, ইতিমধ্যে ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৪৩টি ত্রাণশিবির স্থাপন করা হয়েছে।