গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় শিশু নুরুন্নবীকে (৭) হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
আজ রোববার দুপুরে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান এ সাজা দেন।
এ ছাড়া ওই ব্যক্তিকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি লাশ গুম করার দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করার আদেশ দেওয়া হয়। সাজাগুলো একই সময়ে চলবে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম রতন মিয়া (২৪)। তাঁর বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ উত্তরপাড়া গ্রামে। দুপুরে রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (বিশেষ পিপি) মোহিবুল হক। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন না। আসামি গ্রেপ্তারের পর থেকে সাজা শুরু হবে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, শিশু নুরুন্নবী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সোনারপাড়া গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে। রতন মিয়া ২০১২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে নুরুন্নবীকে অপহরণ করেন। অপহরণের পর মুঠোফোনে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় শিশুটিকে হত্যার পর লাশ করতোয়া নদীতে ফেলে দেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ফুল মিয়া বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা করেন। ২০১২ সালের ৫ জুন রতনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরে রতন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিদ্দিকুল ইসলাম।