আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে কক্সবাজারের পেকুয়ায় জয়নাল খুনের মামলার আসামি আবু ছৈয়দকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার একটি পা কেটে নিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আফজলিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আবু ছৈয়দ একই এলাকার মৃত বদিউর রহমানের ছেলে। আহতরা হলেন- আবু ছৈয়দের স্ত্রী বুলবুল আক্তার (৩৪), তার সম্বন্ধী (স্ত্রীর বড় ভাই) খোকন (৪০), একই এলাকার আবদুল মজিদের স্ত্রী শাকিলা (৩৩) ও ছেলে এনাম (১৭)।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আবু ছৈয়দকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- আফজালিয়া পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মহিউদ্দিন ও কামাল হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন জনু।
আবু ছৈয়দের শাশুড়ি মোবারেকা বেগম বলেন, ‘আবু ছৈয়দ চিংড়ি ঘের থেকে দুপুরে খাবার খেতে বাড়িতে আসে। সে আমার বাড়িতে আসার খবর পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পাশের আলী আকবরের বাড়িতে অবস্থান নেয়।’ তিনি আরও বলেন, বিকেলের দিকে বাড়িতে হানা দেন তারা। এ সময় মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আলী আকবর, আনোয়ার হোসেন, নুরুল ইসলামের ছেলে নেজাম উদ্দিন, নুর মুহাম্মদের ছেলে ইউনুস, আনিস, মৃত নুরুন্নবীর ছেলে আনসার, ছোটন, আমির হোসেনসহ ১৫-২০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে সে খাটের নিচে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে কুপিয়ে ডান পা শরীর থেকে আলাদা করে ফেলে। এ সময় কাটা পা নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২০২১ সালের ২ মে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মগনামায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনকে। এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি ছিলেন আবু ছৈয়দ। জয়নাল হত্যা মামলায় সাজা খেটে ৬ মাস আগে জামিনে বের হন আবু ছৈয়দ। জয়নাল হত্যার জেরেই আবু ছৈয়দকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।