ব্যাঙ্গালুরুর সাফে মালদ্বীপ ও ভুটানকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা নিয়েছে বাংলাদেশ। এবার ফাইনালে ওঠার হাতছানি লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। আগামীকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার ম্যাচটিতে তারা কুয়েতের মুখোমুখি।
সেমিতে নামার আগে রিকভারির জন্য কুয়েতের চেয়ে একদিন কম সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ। রিকভারির জন্য ৭২ ঘন্টা সময় পেলেও মাঝে ঈদের দিন থাকায় গতকাল মাঠের অনুশীলন করেনি তারা। টানা ম্যাচ খেলায় কিছুটা ক্লান্তি চেপে ধরেছে। তবে ক্লান্তিকে পাশে রেখে কুয়েতকে হারাতে মানসিকভাবে প্রস্তুত বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক বলেছেন,’আমরা জানি কুয়েত খুব ভালো দল, শক্তিশালী দল। কুয়েত তাদের গ্রুপে সেরা হয়েছে। এটাই ইঙ্গিত দেয় যে তারা অনেক শক্তিশালী দল। তবে আমাদের নিজেদের ভেতরেও আত্মবিশ্বাস আছে। আমাদের এমন একটা দল আছে যারা লড়তে জানে এবং প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারে। আমরা যদিও ক্লান্ত তবে আমরা মানসিকভাবে শতভাগ প্রস্তুত এই ম্যাচের জন্য।’
সেমিফাইনাল জিততে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসী হলেও অতি আত্মবিশ্বাসী নয়। এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক বলেছেন, ‘সেমিফাইনালের আগে আমাদের ভালো আত্মবিশ্বাস আছে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভালো নয়। আমাদের প্রত্যোকেরই কুয়েতের প্রতি সম্মান আছে। আমরা দেখেছি, গ্রুপ মাচে তারা ভারতকে কিভাবে চাপে রেখেছিল। আমরা আজ শেষ অনুশীলন করবো। সেখানে আমরা অবশ্যই কুয়েতকে কিভাবে মোকাবেলা যায় তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলবো।’
সেমিফাইনালে নিজেদের ওপর বেশি নজর দিতে চান জামাল ভূঁইয়া, ‘আমাদের নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে। আমাদের নিজেদের দিকে নজর রাখতে হবে। কিভাবে গোল করতে হবে, কিভাবে আক্রমণ করতে হবে এবং কিভাবে প্রতিপক্ষকে ডিফেন্স করতে হবে-আমাদের এসবেই নজর রাখতে হবে। তাই আমি বলবো প্রথমেই আমাদের নিজেদের দিকে নজর দিতে হবে। তা নাহলে ম্যাচ কঠিন হয়ে যেতে পারে আমাদের জন্য।’
১৪ বছর পর সেমিফাইনালে আসায় ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ এখন চরমে। বাংলাদেশ দলের ওপর প্রত্যাশা বেড়ে গেছে অনেক। জামাল বলেন, ‘আমরা জানি, এই টুর্নামেন্ট এবং এই সেমিফাইনাল আমাদের নিজেদের হাতে আছে। বাংলাদেশের মানুষ যারা ফুটবলকে সাপোর্ট করেন, তারা সবাই প্রত্যাশা করেন যে, আমরা ফাইনালে যাবো। ইনশাআল্লাহ আমরা যদি একটা পজিটিভ রেজাল্ট করতে পারি, তাহলে ফুটবলের হাইপ আরো বাড়বে। আমরা জানি বাংলাদেশের মানুষ ফুটবল ফলো করে। আমাদের সে দিকেও নজর রাখতে হবে।’