দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদের ২০২৩-২৫ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। সংগঠনটিতে ৮০ জন পরিচালকের মধ্যে ৩৪ জন ইতোমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। আর ২৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে মাত্র ২৩ পরিচালক পদে। এ জন্য লড়বেন ৪৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ ও সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে ৪৬ জন প্রার্থী। এ ছাড়া নির্বাচন করবেন তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এফবিসিসিআইতে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন– এ দুই গ্রুপ থেকে পরিচালক নির্বাচিত হন। তবে চেম্বার থেকে শুধু ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের ২৩ জন পরিচালক প্রার্থী রয়েছেন। তাদের বিপরীতে অন্য কোনো প্যানেল না থাকায় এ গ্রুপে নির্বাচন হবে না। প্রার্থীরা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপেও বিনা ভোটে পরিচালক নির্বাচিত করার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু এ গ্রুপের বেশির ভাগ প্রার্থী তাতে রাজি না হওয়ায় অবশেষে ভোট হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম। অন্যদিকে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট দেবেন ১ হাজার ৯৯০ জন ব্যবসায়ী।
এফবিসিসিআই পর্ষদে ভোটের বাইরে মনোনীত পরিচালক থাকবেন ৩৪ জন। এর মধ্যে চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৭ জন এবং অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৭ জন। এ ৩৪ জনের মধ্যে দুই গ্রুপ থেকে একটি করে মোট দুটি পদ ফাঁকা রয়েছে।
নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে আগামী ২ আগস্ট এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও ছয়জন সহসভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি সংগঠনের সাবেক সভাপতিরা এবার পরবর্তী সভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম চেম্বারের বর্তমান সভাপতি মাহবুবুল আলমকে সমর্থন দিয়েছেন। ফলে মাহবুবুল আলমের সভাপতি হওয়া মোটামুটি নিশ্চিত।
এবারের ভোটে প্রার্থীরা বেশ প্রচার চালিয়েছেন। ভোটারদের টানতে প্রার্থীরা উপহারও দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যান্য বছর ভোটের আগে প্রার্থীদের বেনার-ফেস্টুন বা পোস্টার দেখা যায়নি। তবে এবার রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় উভয় প্যানেলের প্রার্থীদের পোস্টার দেখা গেছে।
নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।
এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোট দেওয়ার জন্য একজন ভোটারকে একটি মাত্র ব্যালট পেপার সরবরাহ করবেন পোলিং অফিসাররা। ব্যালট পেপার সরবরাহের সময় ভোটারের কাছ থেকে তাঁর ভোটার আইডি কার্ড রেখে দেওয়া হবে, যা আর ফেরত দেওয়া হবে না। একজন ভোটার ব্যালট পেপারে উল্লিখিত প্রার্থীদের মধ্যে ২৩ জনকে ভোট দিতে পারবেন। ২৩ জনের কম বা বেশি প্রার্থীকে ভোট দিলে ওই ব্যালটটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্বাচন বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভোটার ছাড়া অন্য কারও নির্বাচন কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার থাকবে না। নির্ধারিত ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কোনো প্রার্থী বা ভোটার কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।