নন্দনে দর্শকসারিতে বসে ‘লাল শাড়ি’ দেখলেন অপু বিশ্বাস

0
109
সহশিল্পী সাইমন সাদিককে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন অপু বিশ্বাস

কলকাতার নন্দনে দর্শকসারিতে বসে ‘লাল শাড়ি’ ছবিটি দেখলেন ঢালিউড অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। কলকাতার নন্দনে চলছে পঞ্চম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। রোববার ছিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এদিন নন্দন-১ প্রেক্ষাগৃহে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে লাল শাড়ি ছবিটি দেখানো হয়। একপাশে অভিনেতা সাইমন সাদিক, অন্যপাশে পরিচালক বন্ধন বিশ্বাস‒ দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে ‘লাল শাড়ি’ ছবিটি উপভোগ করেন ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাস। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো সিনেমাটাই দর্শকসারিতে বসে দেখেন অপু। এদিন তার পরনেও ছিল লাল শাড়ি। আর গোটা শাড়ি জুড়েই বড় বড় হরফে লেখা ‘লাল শাড়ি’।

বাংলাদেশের বাইরে কলকাতাতেও ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে অপু বিশ্বাস প্রযোজিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা ‘লাল শাড়ি’। রোববার ছুটির দিনে তাই ছবিটি দেখার জন্য নন্দনেও ভিড় জমান অসংখ্য সিনেমাপ্রেমী মানুষরা। ইতোমধ্যে গুণীজন মহলে ছবিটি প্রশংসিতও হয়েছে। ছবি দেখার আগে এদিন লাল শাড়ি পরেই চিত্রগ্রাহকদের অনুরোধে পোজ দিতে দেখা যায় অপুকে। এর আগে নন্দন চত্বরে সিনেমাপ্রেমী মানুষদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন তিনি। পরে সাইমন সাদিককে নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন অপু।

এই ছবির সফলতা নিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমার প্রতিটি সফলতা ভক্ত, দর্শকদের।’ লাল শাড়ি ছবি দেখার জন্য দর্শকদের এই আগ্রহ, লম্বা লাইন সবকিছুই দারুণ উপভোগ করছেন বলেও জানান অপু। তিনি আরও জানান ‘আমাদের বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সিনেমা গুলি বেশি হয়। কিন্তু এই ধরনের তাঁত শিল্প নিয়ে খুব একটা কাজ হয়নি। তাই আমার মনে হয়েছে বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি যখন সামনে আনা হবে সেখানে তাঁত শিল্প এবং তাঁতিদের জীবন কাহিনীও সেখানে উঠে আসবে।’

‘লাল শাড়ি’ সিনেমার নামকরণ নিয়ে অভিনেত্রী জানান, বাঙালি নারীর প্রধান পোশাক শাড়ি ও তার কারিগরদের গল্প নিয়ে এই সিনেমার কাহিনী। প্রথমের সিনেমাটির নাম ‘শাড়ি’ ছিল, পরে সেটির সাথে ‘লাল’ যুক্ত করা হয়। কারণ লাল ভালোবাসার প্রতীক।

অন্যদিকে কলকাতায় বছরে তিন-চারবার করে আসা হলেও টলিউডে পা জমাতে পারেননি অভিনেতা সাইমন সাদিক। তিনি বলেন ‘আমার খুব পছন্দের জায়গা এই কলকাতা। বছরে ৩-৪ বার আসা হয় কিন্তু এই প্রথম সিনেমা নিয়ে এসেছি। আমি এখানেও ছবি করতে চাই, কিন্তু এখানকার পরিচালকদের সঙ্গে আমার খুব বেশি যোগাযোগ নেই। হয়তো আগামী দিনে হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে সুযোগ পেলে অবশ্যই কাজ করতে চাই।’

দুই বাংলায় যদি একসঙ্গে কাজ হয় সেটাও খুব ভালো বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নন্দনের মত একটা জায়গায় আমাদের এই সিনেমা দেখাতে পারছি‒ এটা আমাদের কাছে খুব সৌভাগ্যের বিষয়। তার ওপর ‘লাল শাড়ি’ নিয়ে দর্শকদের যে সাড়া মিলেছে, প্রচুর লম্বা লাইন‒ এটা খুবই ভালো লাগার বিষয়।”

কলকাতার সিনেমার ভক্ত সাইমন বলেন, “আমার পাঁচটা ভালো লাগা ছবির মধ্যে একটি ‘বাইশে শ্রাবণ’। ছবিটিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় পরিচালকের কাজ, ডায়ালগ, মিউজিক‒ সব কিছুই অসাধারণ। এই ছবিটি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।”

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.