জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন। আপনার দায়িত্ব তো বেড়ে গেল। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?
আজীবন সম্মাননা পাওয়া মানে দায়িত্ব বেড়ে গেল, এটা আমি বলব না। যারা দায়িত্ববান ও দায়িত্বশীল, তাদের সারাটা জীবন দায়িত্বের মধ্যে কেটে যায়। তবে আজীবন সম্মাননা এখন যেভাবে দেওয়া হচ্ছে, এই প্রক্রিয়া আমার পছন্দ হচ্ছে না। কারণ, আজীবন সম্মাননা যদি এককভাবে দেওয়া যেত, তাহলে আনন্দটা বেশি লাগত। আজীবন সম্মাননা দুজনকে একসঙ্গে দেওয়াটা কেমন যেন লাগে। আমার পছন্দ নয়। এটা যখন শুরু হয়েছিল, তখন কিন্তু একজনকে দেওয়া হতো। পরে দেখি দুজনকে দেওয়া শুরু হলো। আমাদের এত শিল্পীও তো নেই। প্রতিবছর একজনকে দেওয়া হলে তিনি পূর্ণভাবে পেতেন। আনন্দটা উপভোগ করতেন। এতে আনন্দটা ভাগ হয়ে যাচ্ছে।
চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেলেন। এই মাধ্যমের জন্য নতুন কী করতে চান?
আমাদের সামনে অনেক কঠিন পথ। নানা সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা এখন সময় পার করছি। আমার নিজস্ব অবস্থান থেকে চলচ্চিত্রের এই সংকট সময়টা উত্তরণের চেষ্টা করে যাব আরকি।
আপনার সঙ্গে আরও একজন অসাধারণ শিল্পী পাচ্ছেন আজীবন সম্মাননা। তাঁর ব্যাপারে কিছু বলুন।
তিনি একজন ভালো শিল্পী। আমার নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। আমি তাঁকে মায়ের চরিত্রেই সব সময় পেয়েছি। এ রকম একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য শ্রদ্ধার জায়গা সব সময় ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।