ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বিশ্বজুড়ে অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার। বিশেষত শিশু ও তরুণদের কাছে মুখরোচক এই খাবারের কাটতি বেশি। পথের ধারের দোকানে কিংবা রেস্তোরাঁয় বসে গল্প করতে করতে একটি-দুটি করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মুখে দেওয়ার মজাই আলাদা।
অথচ ডুবো তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই শারীরিক ও মানসিক নানা ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ডেকে আনতে পারে অবসাদ-বিষণ্নতা। এমনটাই জানিয়েছেন চীনের হাংঝোউয়ের একদল গবেষক।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘন ঘন ভাজাপোড়া খাওয়া, বিশেষত ডুবো তেলে ভাজা আলু (ফ্রেঞ্চ ফ্রাই) খাওয়া শারীরিক-মানসিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব খাবার উদ্বেগের ঝুঁকি ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। হতাশা-বিষণ্নতা-অবসাদের ঝুঁকি বাড়াতে পারে ৭ শতাংশ পর্যন্ত।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেয়ে কি ডায়েট হবে
গবেষকেরা আরও বলছেন, কম বয়সী গ্রাহকদের মধ্যে এ ধরনের ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। ভাজাপোড়া খাবারের সঙ্গে মুটিয়ে যাওয়া, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপসহ স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা সরাসরি সম্পৃক্ত। পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গবেষণা মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভাজা খাবার কম খাওয়ার বিষয়ে একটি নতুন পথের সন্ধান দিয়েছে।
তবে পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমস্যায় ভোগার প্রধান কারণ, তা বলা যাচ্ছে না। কিংবা ইতিমধ্যে উদ্বেগ-বিষণ্নতা-অবসাদে ভোগা মানুষেরা ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার পর থেকে সমস্যায় পড়েছেন কি না, তাও জানা যায়নি। এসব নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন।
গবেষকেরা ১১ বছরের বেশি সময় ধরে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। পরে দেখা গেছে, ভাজাপোড়া খাবার খেতে পছন্দ করেন, নিয়মিত খান এমন ৮ হাজার ২৮৪ জন উদ্বেগে ভুগছেন। বিষণ্নতা-অবসাদে ভুগছেন ১২ হাজার ৭৩৫ জন।
আরও দেখা গেছে, ফেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার কারণে মাংস খাওয়ার তুলনায় বিষণ্নতায় ভোগার ঝুঁকি ২ শতাংশ বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ডেভিড কাটজ বলেন, এ গবেষণার মধ্য দিয়ে একটি বিষয় বোঝা গেছে যে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি ভাজাপোড়া খাবার মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এসব খাবার উদ্বেগ-বিষণ্নতা-অবসাদের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।