বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও ‘সময়োচিত সংস্কার পদক্ষেপ’ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ। খবর বাসসের।
আন্তর্জাতিক অর্থবিষয়ক সংবাদ সংস্থাটির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ভোটে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারি দলের নেতারা প্রায়ই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে সম্মত সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের মতো নন। আইএমএফের শর্ত দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যেখানে পাকিস্তান এখনও জ্বালানি ভর্তুকি নিয়ে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে।
ব্লুমবার্গ সোমবার ‘বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফ-ম্যান্ডেটেড রিগর উইল পে অব ইন পোলস’ (আইএমএফের কঠোর শর্ত নির্বাচনী জয়ে ভূমিকা রাখবে বলে বাজি ধরেছেন বাংলাদেশের নেতা) শিরোনামের এই নিবন্ধটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর কারণ কেবল তাঁর অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন–
এটা নয় বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্যের কারণেই এটা ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সময়োপযোগী সংস্কারের জন্য আইএমএফ ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। পুরো তহবিল পেতে শেখ হাসিনাকে আরও সংস্কার করতে হবে।
গত বছর জুলাই মাসে আইএমএফের সহায়তা চাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে সর্বশেষ ছিল বাংলাদেশ। দেশটি দ্রুত জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির পর প্রথম ঋণ অনুমোদন পেয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি।
গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় সংস্থাটি প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করেছে। তবে এ ঋণ পেতে সরকারকে আর্থিক খাতে সংস্কারসহ কঠোর শর্ত পালন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানির দাম সমন্বয়।