সালমান পটুয়াখালীর গলাচিপা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. শাহজালাল ও কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনিরা সুলতানার বড় ছেলে। গতকাল বুধবার জানাজা শেষে সালমানকে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নে তার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। সালমানের ছোট ভাই সায়াদ রহমান দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
গলাচিপা শহরের সামুদাবাদ সড়কে সালমানদের বাসায় এখন শোকাচ্ছন্ন নীরবতা। সালমানের বাবা মো. শাহজালাল ছেলের শোকে কথা বলতে পারছিলেন না। তিনি শুধু বললেন, তাঁদের কত স্বপ্ন ছিল সালমানকে নিয়ে। লেখাপড়া করে সে বড় চিকিৎসক হবে। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা তাঁদের সব স্বপ্ন চুরমার করে দিল।
দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত মেধাবী। সে গলাচিপা শহরের বাংলাদেশ-তুরস্ক ফ্রেন্ডশিপ স্কুল থেকে প্রাথমিক সম্পন্ন করে। ২০১৮ সালে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায়। এরপর ভর্তি হয় বরিশাল ক্যাডেট কলেজে।
বাংলাদেশ-তুরস্ক ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের উপাধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সালমান অত্যন্ত মেধাবী ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি সব ব্যাপারে পারদর্শী ছিল। আমরা শিক্ষকেরা তাকে নিয়ে গর্ব করতাম। কিন্তু হঠাৎ তাঁর মৃত্যুর খবরে সবাই মর্মাহত হয়েছি। ওর মতো মেধাবী এভাবে অকালে চলে যাবে, ভাবা যায় না।’
গতকাল বিকেলে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে ক্যাডেট কলেজের ভেতরে বার্ষিক একটি প্রশিক্ষণের সময় সালমান রশি ছিঁড়ে পড়ে যায় এবং নিচে লোহার বিমে গুরুতর আঘাত পায়। এরপর আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে সালমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সিএমএইচে নেওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।