সংবাদপত্র শিল্পের জন্য শুল্ক ও কর অব্যাহতি চায় নোয়াব

এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট বৈঠক

0
96
এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট বৈঠকে নোয়াব ও এটকো নেতারা।

সংবাদপত্র শিল্প বাঁচাতে নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক এবং ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। একইসঙ্গে এ খাতের করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। অন্যদিকে বিজ্ঞাপনে উৎসে কর কর্তন বন্ধসহ বেশকিছু প্রস্তাব করেছে টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকদের সংগঠন এটকো। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট বৈঠকে এ দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

বৈঠকে নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র প্রায় রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। কভিড মহামারি তা তরান্বিত করেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক অর্থনীতিতে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা সংবাদ শিল্পের জন্য আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি এনেছে। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সংবাদপত্র শিল্পের টিকে থাকা কঠিন।’

নোয়াবের লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়, সংবাদপত্রের প্রধান উপাদান নিউজপ্রিন্টের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। দেড় বছর আগে প্রতিটনের দাম ছিল ৫৭০ ডলার, যা এক হাজার ৫০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। এখন কিছু কমেছে কিন্তু সার্বিকভাবে নিউজপ্রিন্টের দাম ঊর্ধ্বমুখী। নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন অনুযায়ী বিশেষ সুবিধা প্রদানের নিমিত্তে অব্যাহতি প্রাপ্ত সেবার তালিকায় সংবাদপত্র অন্তর্ভুক্ত। সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হলেও নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে অনেক পণ্যই ভ্যাটমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। নোয়াবের পক্ষে তিনি এই ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান। নোয়াবের দাবিতে আরও জানানো হয়, সংবাদপত্র এরই মধ্যে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। এর কর্পোরেট কর ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করা জরুরি।

এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট বৈঠকে নোয়াব ও এটকো নেতারা।

বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘এসব আমরা প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখব। রাজস্ব বাড়ার ক্ষেত্রে সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, সুতরাং এ খাতকে সগযোগিতা করা উচিত।’

বৈঠকে নোয়াবের পক্ষে আরও বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সম্পাদক ও নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সদস্য মতিউর রহমান, ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক ও নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

একই বৈঠকে এসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটকো) সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এটি ছিল আগামী অর্থ বছরের বাজেট প্রণয়নের অংশীজন সভার প্রথম বৈঠক।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.