আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘ওমেন্স ফুটবল লিগ ২০২৩-২৪।’ দেশের ৯ টি ক্লাবের নারী ফুটবল দলের অংশগ্রহণে শুরু হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। এর আগে শুক্রবার বাফুফে ভবনে হয়ে গেল আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। যেখানে এবারের লিগে অংশ নেওয়া ৯ দলের অধিনায়ক উপস্থিত ছিলেন। কথা বলেছেন এবারের নারী ফুটবল লিগে নিজেদের প্রস্তুতি ও সম্ভাবনা নিয়ে। তবে সব ছাপিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছে গরমের মধ্যে মেয়েদের খেলার সময় নিয়ে। ফ্লাডলাইটে খেলার সুযোগ থাকলেও মেয়েদের খেলতে হবে রোদের মধ্যে, তীব্র গরমের মাঝে।
লিগের সব ম্যাচই হবে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। দুটি সময়ে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল পৌনে চারটার পাশাপাশি ম্যাচের আরও একটি সময় সকাল সাড়ে নয়টা।
দেশ জুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর হিট ওয়েভ জারি করেছে। এই সময়ে কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে গরম আরো বেশি অনুভূত হয়। এমনটাই অভিযোগ ছিল সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের (বিসিএল) দলগুলোর। খেলোয়াড়রা তখন বলেছিলেন, গরমে এই মাঠের সিনথেটিক ট্র্যাক রীতিমতো অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়। কমলাপুরের এই স্টেডিয়ামে আছে ফ্লাডলাইটের সুবিধা। চাইলেই সন্ধ্যার পর ম্যাচ আয়োজন করতে পারতো বাফুফে।
তারপরেও রোদের মধ্যে লিগ কেন, এই প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সন্ধ্যায় ফ্লাডলাইটে খেলা আয়োজন করলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে ম্যাচ প্রতি গড়ে ১৩ হাজার টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। এত টাকা আমাদের নেই। খুব কষ্ট করে আমরা স্পন্সর এনে খেলা আয়োজন করি। সে কারণেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা ফ্লাড লাইটে ম্যাচ আয়োজন করতে পারছি না।’
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার আরও যোগ করে বলেছেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমাদের চিঠি দিয়েছে, ফ্লাডলাইট ব্যবহার করলে মিটার রিডিং অনুযায়ী বিল প্রদান করতে হবে। আমরা সেই নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শেষ রাউন্ডের খেলা চালিয়েছি। এতে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টাকা লাগে।’
মেয়েদের এই ফুটবল লিগ শুরুর ঠিক আগে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। নারী ফুটবল লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে না। এছাড়া লিগ শুরুর ঠিক আগে পৃষ্ঠপোষকতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তবে বসুন্ধরা না থাকলেও এবারের নারী লিগে বাফুফে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পেয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংককে। লিগে অংশগ্রহণকারীর ৯ ক্লাবের জন্য ৫০ হাজার টাকা, চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫ লাখ ও রানার্স আপের জন্য ৩ লাখ এবং সেরা খেলোয়াড়ের আর্থিক পুরস্কার থাকবে।
এবারের লিগে সবচেয়ে শক্তিশালী দল গড়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি। সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দাসহ জাতীয় নারী দলের ১৫ জন ফুটবলারকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। কাগজে–কলমে দ্বিতীয় সেরা দল আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ ক্লাব। তাদেরও কয়েকজন জাতীয় দলের ফুটবলার আছে।