বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি এখন ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে রূপ নিয়েছে। দ্রুত এগোচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৮ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোর থেকে রাজধানীতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সারাদেশে বৃষ্টির অনুপাত সমান নয়। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি এবং রাজধানী ঢাকায় থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে হালকা শীতল বাতাসও বইছে। ভোর থেকে বৃষ্টির জন্য অবরোধ-হরতাল বিহীন রাজধানীতে বিপাকে পড়েছে কর্মজীবীরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে এগিয়ে ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে পরিণত হয়েছে। এটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে বাতাসের গতি ইতিমধ্যেই বেড়ে গেছে। এটি আরও অগ্রসর হচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।