ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র অগ্রভাগ উপকূল স্পর্শ করেছে

0
132
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’, ছবি: আবহাওয়া অধিদপ্তর

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে বাতাসের গতি বেড়ে গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে এর মূল অংশ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন আজ দুপুর ১২টার দিকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে বাতাসের গতি ইতিমধ্যেই বেড়ে গেছে। এটি আরও অগ্রসর হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি বাড়ছে। মনোয়ার হোসেন বলেন, আগে এটি ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল। এখন এর গতিবেগ ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার হয়ে গেছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যেই এর মূল অংশ খেপুপাড়ার দিকে আঘাত হানতে পারে।

এই ঘূর্ণিঝড় খুব বড় ধরনের হবে না বলে এখনো মনে করছেন আবহাওয়াবিদ এবং সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান আজ বলেন, ‘মিধিলি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করেছে। বেলা দুইটার দিকে এর মূল অংশের প্রভাব শুরু হবে। এটি ‘এ’ ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়। এটি বড় আকারের ঘূর্ণিঝড় হবে না।’

তবে ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবিলায় কিছু প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫ হাজার ৬০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব জেলার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে দেশের আট উপকূলীয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ইতিমধ্যে এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন আজ সকালে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। জলোচ্ছ্বাসে এসব অঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.