দিনভর আলোচনায় কেন্দ্রে ছিলেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। প্রথমে হাসপাতালে ভর্তির খবর, এরপর উঠে আসে আত্মহত্যার চেষ্টার গুঞ্জন। অভিনেত্রীর পরিবার বা সহকর্মীরা কেউ মুখ না খোলায় তৈরি হয় রহস্যের আঁধার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম জানান, ‘বুকে ব্যথা নিয়ে বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর পান্থপথের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তানজিন তিশা। এখন শঙ্কা মুক্ত।’
এরপর বিকেলে হাসপাতালে থেকে বাসায় ফেরের তানজিন তিশা। বাসায় ফিরে সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো দিনের আলোচনা-সমালোচনার জবাব দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজকে কিছু ভুল নিউজ দেখতে পেলাম এবং সে বিষয়টি আমি সবাইকে পরিষ্কার করতে চাই। আসল বিষয়টি হল, গতরাতে আমার ফুড পয়জনিং-এর পরে কিছু ব্যাপারে আমার খারাপ অবস্থা ছিল। তাই আমি একটা স্লিপিং পিল খাই। তার সাইডইফেক্ট হিসেবে আমার বমি হয় এবং হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।’
ছোট পর্দার অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তিশা। সেই সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা তিশা ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এমন খবরের পেক্ষিতে তিশা বলেন, ‘আরও একটু বিষয় বলতে চাই, আমার বাবা গত দুইবছর আগে বাবা মারা যায় এবং বিষয়টি আমাকে এতোটাই শক্ত করে যে এই ধরনের পদক্ষেপ আমি এরকম কোন মানুষ অথবা যেকোন মানুষের জন্যই জীবনে নেব না।’
তিশার কথায়, ‘সবাইকে একটি বিষয় বলতে চাই যেটা আগেও বলেছি- আর্টিস্টদের একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপনারা যদি কথা বলেন তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। কিন্তু আমি একটি বিষয় বলতে চাই, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমারও হয়তো কখনো কিছু বলার থাকতে পারে। যদি থাকে এবং যারা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে মিডিয়ার কিছু মানুষ তাদের প্রত্যেকের নাম উল্ল্যেখ করে স্পেশালি (আমার ফিমেল-মেল কো-আর্টিস্ট, আমার ডিরেক্টর, আমার পার্সোনাল লাইফের মানুষ) যারা আমার ক্ষতি করেছেন অথবা করার চেষ্টা করছেন তাদের প্রত্যেকটা মানুষের নাম ম্যানশন করে অতি শিগগিরই প্রেস কনফারেন্স করবো। ধন্যবাদ। মুশফির আর ফারহান।