লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে ধ্বংস হতে দেবে না হিজবুল্লাহ। রোববার নিজের ভেরিফায়েড টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। খবর পার্স টুডের
বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, শনিবার রাতে ইসরায়েলি যুদ্ধমন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট গাজা উপত্যকায় দখলদার সেনাদের স্থল অভিযানের চূড়ান্ত লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যটি হচ্ছে, হামাসের অস্তিত্ব ধ্বংস করে দেয়া। কিন্তু এ ধরনের লক্ষ্য নির্ধারণের সমস্যা হলো এর মাধ্যমে যুদ্ধ জয়ের দাবি করা সম্ভব হয় না। গ্যালান্ট যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তা অর্জন করতে হলে হামাসের সকল শীর্ষ নেতাকে হত্যা করতে এবং অবশিষ্ট যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, ’যদি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের লক্ষ্য অর্জিত হবে না এবং ইসরায়েল যুদ্ধ জয়ের দাবি করতে পারবে না। যদি গোটা গাজা উপত্যকাও ধ্বংস হয়ে যায় এবং হামাসের অন্তত ২০ হাজার যোদ্ধাও নিহত হয় তারপরও তেল আবিব গাজা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার দাবি করতে পারবে না।’
হিজবুল্লাহ আরও বলেছে, শেষ পর্যন্ত যদি হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের জীবিত রাখার পাশাপাশি হামাসের যোদ্ধাদেরকে অক্ষত রেখে ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকা ত্যাগ করতে হয় তাহলে কার্যত তেল আবিব যুদ্ধে পরাজিত হবে। সে অবস্থায় হামাস এই বলে বিজয়ের দাবি করবে যে, ইসরায়েল তার ঘোষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কিন্তু এসব হিসাবের বাইরে ইসরায়েলের সামনে যে বড় বাধাটি রয়েছে সেটি হচ্ছে হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল যদি সত্যিকার অর্থে গাজা সিটি দখল করার মূল্য পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে হামাসের নেতাদেরকে হত্যা করার মতো যুদ্ধাস্ত্র ও জনবল তার আছে। কিন্তু হিজুবল্লাহ যখন হামাসকে বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন গাজা দখলের ইসরায়েলি বাসনা অপূর্ণ থেকে যাবে। ইসরায়েল যেমন হামাসের নেতৃত্বকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেমনি হামাসকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছে হিজবুল্লাহ।’
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতের শেষ বাক্যে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সামনে এখন দু’টি পথ খোলা রয়েছে। পরাজয় স্বীকার করে গাজা ত্যাগ করা অথবা লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত থাকা।