আজ দেশের ১৫৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সিনেমাটিতে তার শেখ হাসিনা চরিত্রটি হয়ে উঠা ও নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে
‘মুজিব:একটি জাতির রূপকার’ মুক্তি পেল আজ। ছবির অভিনেত্রী হিসেবে এই মুহূর্তের অনুভূতিটা কেমন?
এই মুহূর্তের অনুভূতিটা যে কেমন, সত্যি বলে বোঝাতে পারব না। ‘মুজিব:একটি জাতির রূপকার’ আমার অভিনয় জীবনের স্মরণীয় একটি কাজ। যার কাহিনি ও প্রতিটি চরিত্র ইতিহাসের পাতা থেকে তুলে আনা হয়েছে। আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নানা অধ্যায়, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে একটি দেশের জন্ম নেওয়ার গল্প; যা প্রত্যেক মানুষের মনে ছাপ ফেলার মতো। সেই ছবি দর্শক দেখছেন– এটি ভাবতেই অন্যরকম এক ভালো লাগায় মন ভরে যাচ্ছে।
ছবিটিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছিন। চরিত্রটি আপনার জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
শেখ হাসিনার জীবনও ঘটনাবহুল।তাঁর চরিত্র পর্দায় তুলে ধরাও কম চ্যালেঞ্জিং নয়। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেই পাওয়া।এক সাক্ষাতে তিনি বলেছিলেন, ‘যা করবে মন থেকে করবে, তাহলেই প্রত্যাশা পূরণ হবে।’ তাঁর সেই কথাআর পরিচালকের নির্দেশ মেনেই সাবলীলভাবে অভিনয় করে গেছি।
অভিনয় করতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে কীরূপ আবিষ্কার করেছেন?
যে সময়টা ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে আজকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তখনকার শেখ হাসিনাকে মেলানো যাবে না। একটি পরিবারের সাধারণ মেয়ের মতোই ছিল তাঁর জীবনযাপন। যাঁকে দেখে মনে হবে, একজন করে হাসিনা প্রত্যেক মেয়ের মধ্যেই আছে।
চরিত্রটি করার সুযোগ পেয়ে নিজের কতটা প্রাপ্তি মনে করছেন?
আমার তো মনে হয় ভবিষ্যতে যদি আর কোনোদিন অভিনয় নাও করি, তাহলে আক্ষেপ থাকবে না। এই চরিত্রে অভিনয়ের যে সুযোগ অর্জন করেছি, সেটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।
চরিত্রটি করার সুযোগ পেয়ে নিজের কতটা প্রাপ্তি মনে করছেন?
আমার তো মনে হয় ভবিষ্যতে যদি আর কোনোদিন অভিনয় নাও করি, তাহলে আক্ষেপ থাকবে না। এই চরিত্রে অভিনয়ের যে সুযোগ অর্জন করেছি, সেটাই আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।
চরিত্রটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কোনো দিক নির্দেশনা পেয়েছিলেন?
উনি আমাকে আত্মবিশ্বাসী থাকতে বলেছেন। আরও বলেছিবলেন, আমার মতো করেই চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলতে।