অন্তর্জাল’ সিনেমার প্রিয়ম চরিত্রটি নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
এককথায় অসাধারণ। এত সাড়া পাব, তা একদমই ভাবিনি। আমি যে চরিত্রটি করেছি, সাধারণত এমন চরিত্র নায়িকারা খুব একটা করতে চান না। কারণ এখানে গ্ল্যামার নেই, চরিত্রটি রসকসহীন। অথচ দর্শক এই চরিত্রটিই ভালো লাগছে বলে জানাচ্ছেন। দর্শক ভালো বলছেন, এটা কীভাবে জানলেন? সিনেমাটি মুক্তির দিন থেকেই তো হলে হলে ঘুরছি। গতকালও এসকেএসে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম, অধিকাংশ মানুষ পরিবার নিয়ে সিনেমাটি দেখতে এসেছেন। সেখানে মায়েরা সন্তানদের নিয়ে এসেছেন। আমাকে দেখে তারা তো অবাক। কাছে এসে বললেন, পুরো ছবিটিই তোমার চরিত্রটি দেখে শুধু রাগ লেগেছে। কোনো হাসি নেই, সব সময় বিরক্ত হয়ে থেকেছ। তোমাকে দেখে আমাদেরও বিরক্ত লেগেছে। তার মানে আমি সফল। পরিচালক যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই আমি করতে পেরেছি। এ ছাড়া ফোনে-ফেসবুকে অনেকেই প্রিয়ম চরিত্রটি নিয়ে কথা বলছেন। প্রথম সিনেমা ‘ন ডরাই’-এর চার বছর পর দ্বিতীয় ছবি মুক্তি পেল। মাঝখানে এত বিরতি কেন? আমি আসলে যে ধরনের কাজ করতে চেয়েছি, তেমন কাজ খুব একটা আসেনি। এ জন্যই বলতে পারেন এত গ্যাপ। এ ছাড়া আমার ক্যারিয়ারও বেশি দিনের নয়। অনেক কিছু শেখার বাকি। এই সময়টা নিজেকে অনেক বিষয়েই পরিণত করার চেষ্টা করেছি। অভিনয়ের কোর্সও করেছি। অন্তর্জালে যুক্ত হয়েছিলেন কী মনে করে? অন্তর্জালকে বাণিজ্যিক ঘরানার ছবি করার বেলায় এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে নিয়েছিলাম। দেখি, কতটা কী করতে পারি। এ ধারণা থেকেই এই ছবিতে যুক্ত হয়েছিলাম। তা ছাড়া চরিত্রটিও আমার পছন্দ ছিল। নির্মাতা দীপংকর দীপনও নতুন কিছু করতে চেয়েছিলেন। তাঁর সেই ইচ্ছার সঙ্গে আমি শুধু একাত্ম হয়েছিলাম। হয়ে লাভও হয়েছে। নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। কী ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে? শেখা হয়েছে অনেক বিষয়ে, যা আমি জানতাম না। সিনেমার টেকনিক্যাল অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা আগামীতে বেশ কাজে দেবে আমার। সিয়াম আপনার ভালো বন্ধু। অথচ বড় পর্দায় হয়ে উঠলেন তাঁর নায়িকা… হ্যাঁ, বলা যায় আমাদের বন্ধুত্বটা এখন পারিবারিক। মজার বিষয় হচ্ছে, সিয়ামের সঙ্গে আমার কখনোই ঝগড়া হয়নি, হবেও না। আমার প্রথম সিনেমা ‘ন ডরাই’ মুক্তির পর সিয়ামের সঙ্গে এক আড্ডায় বলেছিলাম, দোস্ত, আমার পরের সিনেমা তোর সঙ্গে হবে। কাকতালীয়ভাবে সেটাই হয়েছে। নতুন কোনো সিনেমার প্রস্তাব পেলেন? ‘অন্তর্জাল’ মুক্তির পর তিনটি সিনেমার চিত্রনাট্য হাতে পেয়েছি। তবে পড়ার সময় হয়ে ওঠেনি। এখন অন্তর্জাল নিয়েই ঘোরাঘুরি করছি। এই ব্যস্ততা শেষ হলেই চিত্রনাট্য পড়া শুরু করব। আশা করি, এরপর বড় কোনো সুখবর দিতে পারব।