২০১০ এবং ২০১৪ এশিয়ান গেমসে ফাইনালে ওঠেও স্বর্ণ জিততে পারেনি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। দু’বারই হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে। হ্যাংঝুর জিয়েজাং ইউনিভার্সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সেই পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে মেয়েরা; যা এবারের এশিয়াডে বাংলাদেশের প্রথম পদক।
রুপা হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতার আফসোস যেমন আছে, তেমনি করে দেশের জন্য একটা পদক নেয়ার তৃপ্তিও আছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির। বাংলাদেশের হয়ে গেমসে প্রথম পদক জেতা এ ক্রিকেটার সোমবার ম্যাচ শেষে বলেন, ‘অবশ্যই আফসোস করছি। কারণ মানুষ রুপা জেতার পর স্বর্ণের চিন্তা করে। কিন্তু আমরা জিতেছি ব্রোঞ্জ। এখন সেটা নিয়ে আর কি বলব। শুধু এটুকু বলব একটা পদক নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মনটা একটু হলেও ভালো লাগবে যে খালি হাতে যাচ্ছি না।’
রোববার সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হারের ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই পাকিস্তানের মুখোমুখি। হারের যন্ত্রনা ভুলে মাঠে নেমে যেভাবে খেলেছে দল,তাতে খুশি জ্যোতি, ‘প্রতিটি টিমই একটা টুর্নামেন্টে খেলতে আসে সর্বোচ্চ যে সম্মানটা সেটা নিয়ে যাওয়ার জন্য। গত ম্যাচে আমরা যা ভুলত্রুটি করেছিলাম, ওভার নাইটে সেটা ওভার কাম করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। অবশ্যই কোনো কিছু না পাওয়ার চেয়ে বাংলাদেশের জন্য কিছু নিয়ে যাওয়াটা অনেক বেটার। ব্রোঞ্জ জিততে পেরে গর্বিত বোধ করছি।’
কাভারে ঢাকা উইকেটে ভারতের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং নেয়ায় সমালোচিত হয়েছেন জ্যোতি। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ভুল করেননি বলে দলও জিতেছে। সেটা যে ভুল ছিল তা জ্যোতির কথাতেই স্পষ্ট, ‘দেখুন আমরা গত দিনেই এটা (টসে জিতে ব্যাটিং নেয়া) ভুগেছি। যে এই উইকেটটা অনেক বেশি ট্রিকি এবং পাশাপাশি স্পিনও অনেক বেশি টার্ন করে। আমাদের টিমটা কিন্তু স্পিন নির্ভর। সেক্ষেত্রে বলব যে বোলাররা খুব ভালো করেছে। আমি যেটা বিশ্বাস করি, যেটা চলে গেছে সেটা শেষ। এটা নিয়ে চিন্তা করলে মনোবল ভাঙ্গার সম্ভাবনাই বেশি। ফাইনালে খেলতে না পারার আফসোস তো আছেই। তবে অন্যদিক দিয়ে খুশিও। যে বাংলাদেশের জন্য একটা পদক নিয়ে যাচ্ছি।’