‘ঘুড্ডি’ খ্যাত নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তার মরদেহে নেওয়া হলে বিভন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়।
এ সময় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এবং নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ছাড়াও সম্প্রীতির বাংলাদেশ, চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নাট্যচক্র, ফেডারেশন ফিল্ম বাংলাদেশ নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিকাল পৌনে ৩টায় তার মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আইয়ের কার্যালয়ে। এর আগে জোহরের নামাজের পর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে গুণী এ নির্মাতার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সোয়া ৩টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। চ্যানেল আই চত্বরে তার জানাজায় অংশ নেন সংস্কৃতিজনেরা।
চ্যানেল আই কার্যালয়ে শেষবারের মতো এ নির্মাতাকে দেখতে ছুটে আসেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা, আফসানা মিমি প্রমুখ। এছাড়াও তাকে পরিচালক সমিতির পক্ষে এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, অপূর্ব রানা, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু প্রমুখ।
জানাজার শুরুতে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানান চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। এ সময় সালাহউদ্দীন জাকীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
চ্যানেল আইয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় আজিমপুর কবরস্থানে। সেখানেই বাবা-মায়ের কবরে গুণী এ নির্মাতাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেনসৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী। পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায়২১ সেপ্টেম্বর তার জানাজা ও দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।