ফলের পুষ্টিগুণ

0
186
আমড়া 

কলা

পেশি তৈরি, ওজন নিয়ন্ত্রণ বা শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে চাইলে প্রতিদিন একটি করে কলা খান। সামগ্রিক মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা বাড়াতে সাহায্য করবে উপকারী এই ফল অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর কলা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ভিটামিন সি, মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন বি৬, হজমের সমস্যা দূর করার জন্য ফাইবার এবং রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য পটাশিয়াম মিলবে কলায়। কলা প্রাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে কলার বিকল্প নেই। কলায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড় এবং পেশির স্বাস্থ্যে অবদান রাখে। কলায় পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ এবং ডায়েটারি ফাইবারসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে। কলা হলো পটাশিয়ামের অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস, যা হৃৎপিণ্ড এবং পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলার প্রাকৃতিক শর্করা যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কমলা

একজন মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন হয়, তার প্রায় পুরোটাই একটি কমলালেবুতে পাওয়া যায়।

বিশেষ করে ঠান্ডা লাগা, কানের সমস্যা দূর করতে অতি উপযোগী কমলালেবু। কমলায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা সেল ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য জরুরি ফলিক এসিড যথেষ্ট পরিমাণে থাকে কমলালেবুতে। লিভার কিংবা হার্টের বিভিন্ন রোগে কমলালেবু খাওয়া উপকারী। হাইপারটেনশনের রোগীদের ক্ষেত্রেও কমলা খেলে উপকার অনেক।

আমড়া 

টক-মিষ্টি ফল আমড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার সমৃদ্ধ। আমড়া মাঝারি আকারের দেশি ফল। কাঁচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়। তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়।

মুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে আমড়ার। পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমড়ায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম আর আঁশ আছে, যেগুলো শরীরের জন্য খুব দরকারি। হজমেও এটি গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তেল ও চর্বিযুক্ত খাদ্য খাওয়ার পর আমড়া খেয়ে নিতে পারেন, হজমে সহায়ক হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.