বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসাতেই অবস্থান করছেন। গত শনিবারের পর তিনি আর বাসা থেকে বের হননি।
গতকাল সোমবার কয়েকবার এমরানের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। তবে রোববার তিনি বলেন, শনিবারের পর থেকে তিনি বাসাতেই অবস্থান করছেন।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুল হক ভুঞা বলেন, তিনি শুক্রবার রাতে এমরান আহম্মদের সঙ্গে বাসায় গিয়ে কথা বলেছেন। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন না। তিনি থানায় কোনো জিডিও করেননি। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, এমরান বাসাতেই অবস্থান করছেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে এমরানকে ডিএজি পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এরপর বিকেলে এমরান স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের ফটকে পাশের অভ্যর্থনাকক্ষে গিয়ে অবস্থান নেন। সন্ধ্যার পর পুলিশ পাহারায় বাসায় ফেরেন তিনি। শুক্রবার রাতে এমরান ফোনে বলেছিলেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে, এ আশঙ্কা থেকে মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন। পরে তাঁর কোনো ক্ষতি হবে না, সে বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে একটি বক্তব্য দিয়ে কয়েক দিন ধরে আলোচনায় এমরান আহম্মদ। ড. ইউনূসের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি (বিবৃতি) দেন বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি।
খোলাচিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে, এমন দাবি করে গত সোমবার এমরান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।’