মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। আজ শনিবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে; চলবে আট ঘণ্টা ধরে। স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তারা ভোটারদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন। তাঁর সঙ্গে মালের মেয়র মোহামেদ মুইজ্জুর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের ১১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। ইয়ামিনের জায়গায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুইজ্জু।
৫৭৪টি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। এর মধ্যে এক–চতুর্থাংশ বুথই রাজধানী মালেতে। সেখানকার আমিনিয়া স্কুলে ভোটকেন্দ্রে নিযুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, ভোট গ্রহণ শুরুর আগে থেকেই ভোটারদের সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা শুরু করেন।
এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৮২ হাজার। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আট প্রার্থী। মালদ্বীপে কারাবন্দীদেরও ভোট দেওয়ার বিধান আছে। তবে রাজনৈতিক বন্দী যেমন বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন ভোট দিতে পারবেন না।
আগের নির্বাচনে সলিহ ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। তবে এবার তাঁর দলে বিভক্তি দেখা গেছে। তাঁর দল থেকে আরও এক নেতা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই সলিহ ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কোন্নয়ন শুরু করেন। ইয়ামিনের শাসনামলে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা গিয়েছিল। ঋণ ও কূটনৈতিক সমর্থন পেতে চীনের দিকে ঝুঁকেছিলেন ইয়ামিন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদে ইয়ামিন মালদ্বীপে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য চীনের কাছ থেকে প্রচুর ঋণ নিয়েছিলেন।
নির্বাচন কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামীকাল রোববার রাতে ফল ঘোষণা করতে পারবেন তাঁরা।
তবে নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা (৫০ শতাংশের বেশি ভোট) না পান, তবে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াবে। সে ক্ষেত্রে আজকের নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ালে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে।
বিদেশে যেসব এলাকায় মালদ্বীপের নাগরিকদের বসবাস বেশি, সেখানেও ভোট গ্রহণ চলছে। যেমন ভারতের কেরালা রাজ্যের ত্রিভান্দ্রুমসহ মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাজধানীতে প্রবাসীরা ভোট দিচ্ছেন।