সজল। তারকা অভিনেতা। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘১৯৭১ সেই সব দিন’। এই ছবির সাফল্য, বর্তমান ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার ভাবনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন সাদিয়া মুনমুন।
‘১৯৭১ সেই সব দিন’ ছবিতে নতুন এক সজলকে দেখা গেছে। যার সঙ্গে ‘নিঝুম অরণ্যে’, ‘রান আউট’ ও ‘জ্বীন’ ছবিতে দেখা সজলের কোনো মিল নেই– দর্শকের এই মন্তব্যের সঙ্গে আপনিও কি একমত?
দর্শকের কাছে যে বিষয়টি স্পষ্ট, তা নিয়ে দ্বিমতের কোনো কারণ নেই। সত্যিকার অর্থেই ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ আমার অন্যান্য ছবি থেকে পুরোপুরি আলাদা। কারণ, এটি একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও প্রেমের ছবি। ইতিহাসকে আশ্রয় করে প্রেমের গল্প কীভাবে তুলে ধরা যায়, তার একটি উদাহরণ তুলে ধরেছেন নির্মাতা হৃদি হক।
প্রতিটি ছবিতেই কি নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে তুলে ধরার ইচ্ছা?
একই রকম কাজ দর্শক যেমন পছন্দ করেন না, আমিও চাই না একই ঘরানার মধ্যে আটকে থাকতে। গল্প ও চরিত্রে যদি ভিন্নতা না থাকে, তাহলে সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অভিনয় করার কোনো মানে নেই। নতুন কিছু করার সুযোগ আছে, কাজ করে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যাবে– অভিনয়ের জন্য এমন গল্প-চরিত্রই বেছে নিতে চাই।
একসময় ছিলেন ছোট পর্দার নিয়মিত মুখ। এখন নাটক, টেলিছবিতে সেভাবে চোখে পড়ছে না। কারণ কী?
সিনেমার ব্যস্ততার কারণেই অনেক দিন কোনো নাটক, টেলিছবিতে অভিনয় করিনি। একেবারেই কাজ করব না– এটি এখনই জোর দিয়ে বলছি না। যে মাধ্যমে কাজ করে আজকের পরিচিতি, দর্শকের ভালোবাসা পাওয়া, সেই মাধ্যমকে ভুলে থাকাও কঠিন। এখন সময়ই নির্ধারণ করে দেবে, কোন মাধ্যমে ব্যস্ততা বাড়বে বা কমবে।
এখন কি তাহলে বড় পর্দার কাজকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন?
ইচ্ছা– ভালো কাজ করে যাওয়া। মাধ্যম নিয়ে অতটা ভাবছি না। তবে এটা সত্যি, এখন সিনেমার কাজ নিয়েই বেশি ব্যস্ত। প্রেক্ষাগৃহ ও ওটিটি দুই মাধ্যমেই কাজ করে যাচ্ছি।
উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেতা হিসেবে দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শুনলাম, এবার কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন?
ভালো লাগা থেকেই আমরা অনেক কিছু করি। গান গাইলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে কোনো কিছু চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।