এরপর আর কী বাকি থাকে, যাতে একটা দল হারতে পারে! একটাই উপায় আছে। ম্যাচ জেতার পর প্রতিপক্ষের ড্রেসিংরুমে গিয়ে বলতে হবে, ‘ভাইয়েরা, আমরা জিতলেও এই জয় আমরা চাই না। জয়টা তোমাদের দিয়ে দিলাম।’
আজ দুপুরে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানালেন, কী কী করলে কাল এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানো যাবে। তাঁর সেই চাওয়ার মধ্যে আছে চারটি শর্ত। এই চার শর্ত পূরণ হলেই এশিয়া কাপটা বাংলাদেশ শুরু করতে পারবে জয়ের উদ্যাপন দিয়ে।
তা কী সেই চার শর্ত? শুনুন সাকিবের মুখেই, ‘আমরা একটা বিভাগের ওপর নির্ভর করে জিততে চাই না। সব বিভাগে যদি ভালো খেলি… সেটা পেস বোলিং হতে পারে, স্পিন বোলিং হতে পারে, ব্যাটিং হতে পারে, ফিল্ডিংয়েও হতে পারে…তাহলেই জেতা যাবে।’
এই সব বিভাগেই ভালো খেলা মানে তো খারাপ খেলার আর জায়গাও থাকল না! সেটি সাকিবও জানেন। কথাটা আসলে তিনি বলেছেন এটা বোঝাতে যে এর একটিতে ভালো না খেললেই শঙ্কা জাগতে পারে জয় ছুটে যাওয়ার, ‘এই চার জায়গায় ভালো করলেই জেতার সম্ভাবনা থাকবে। আমরা ওটাই করতে চাই, অলরাউন্ড ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা সব দিক দিয়ে ওদের চেয়ে ভালো খেলে জিতব।’
এশিয়া কাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা—দুই দলেই চোটের ধাক্কা লেগেছে। ইবাদতের পর বাংলাদেশ হারিয়েছে জ্বরে পড়া লিটন দাসকে। শ্রীলঙ্কা দলে ধাক্কাটা আরও বেশি। দলে নেই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, পেসার দুষ্মন্ত চামিরা, লাহিরু মাদুসানকা ও লাহিরু কুমারা। এ ছাড়া ফ্লুতে আক্রান্ত দুই বছর পর দলে ফেরা কুশল পেরেরাও।
প্রতিপক্ষকে সাকিব তবু যোগ্য সম্মানটাই দিলেন, ‘শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে হারানো কঠিন। ওদের যারা এলপিএলে ভালো করেছে তারাই এসেছে। কাউকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ওরা মুখিয়ে থাকবে ভালো করার জন্য।’
আর বাংলাদেশ? বিশ্বকাপে যারা আইসিসি ওয়ানডে লিগের তৃতীয় দল হিসেবে খেলবে, এশিয়া কাপে জয়ের ক্ষুধা কি তাদেরও কম থাকবে? সুপার ফোর, ফাইনাল—গোপনে গোপনে সব স্বপ্নই তো আছে। আর ওয়ানডের বাংলাদেশকে এখন বিশ্বের সব দলই সমীহের চোখে দেখে। এশিয়া কাপে সেই সমীহটা আদায় করে নিতে এখানেও সাকিব চান ভালো ক্রিকেট। আর ভালো ক্রিকেটের হাত ধরে সাফল্য আসা মানে তো বিশ্বকাপেও বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারা।
আর এই সবকিছুর জন্য সাকিবের চাই একটা জিনিসই—পেতে হবে চারে চার।