ভারতের দার্জিলিং, সিকিম ও ভুটানের পাহাড়ে টানা বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের তিস্তা পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকাসহ বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায়।
আজ রোববার পশ্চিমবঙ্গ সেচ দপ্তরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা গেছে, গজলডোবা ব্যারেজ দিয়ে পানি ছাড়ছে ভারত। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫১ কিউসেক পানি ছেড়েছে। তিস্তায় পানির স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বন্যার আশঙ্কা ছাড়াও হরপা বানের সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন। বেলা আড়াইটায় তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা এবং সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আর কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে তিস্তা নদীর দুই পয়েন্টের পানি।