আজ ১ জুলাই অভিনয়শিল্পী জয়া আহসানের জন্মদিন। বাংলাদেশের পাশাপাশি তিনি এক দশক ধরে ভারতের কলকাতায়ও অভিনয় করছেন। সম্প্রতি বলিউডের ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছেন। দেশের জনপ্রিয় এই তারকার আজ কততম জন্মদিন জানা না গেলেও এই দিনে কী করতে পছন্দ করেন একনজরে তা জেনে নেওয়া যাক।
![জন্মদিনে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিনোদন অঙ্গনের সহকর্মীরা জয়া আহসানকে নিয়ে নানা স্মৃতিকথা লিখে থাকেন। এবারও সেই ধারাবাহিকতা ছিল। ভক্ত ও ভালোবাসার মানুষদের শুভেচ্ছা তাঁকে আপ্লুত করে।](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2023-06%2Fb652674f-9ff9-49f3-be70-615c0bdd2f4d%2F350486104_631892712303847_3444394535858157405_n.jpg?auto=format%2Ccompress&fmt=webp)
জন্মদিনে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষী ও বিনোদন অঙ্গনের সহকর্মীরা জয়া আহসানকে নিয়ে নানা স্মৃতিকথা লিখে থাকেন। এবারও সেই ধারাবাহিকতা ছিল। ভক্ত ও ভালোবাসার মানুষদের শুভেচ্ছা তাঁকে আপ্লুত করে।
![জয়া আহসান বলেন, ‘সবাই ফেসবুক, টুইটারে এত সুন্দর করে নানা কথা বলে, চোখে পানি এসে যায়। চেনা-জানার বাইরে অচেনা-অপরিচিতরা এত মায়া নিয়ে লিখে, সত্যিই কান্না পায়। এসব মায়া-মমতার কারণে আরও কিছুদিন পৃথিবীতে বাঁচতে ইচ্ছা করে।’](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2023-05%2F8e2cbc1b-c325-451d-a640-f2a47a22fbb9%2F347586428_898570197913587_3357166016089324152_n.jpg?auto=format%2Ccompress&fmt=webp)
জয়া আহসান বলেন, ‘সবাই ফেসবুক, টুইটারে এত সুন্দর করে নানা কথা বলে, চোখে পানি এসে যায়। চেনা-জানার বাইরে অচেনা-অপরিচিতরা এত মায়া নিয়ে লিখে, সত্যিই কান্না পায়। এসব মায়া-মমতার কারণে আরও কিছুদিন পৃথিবীতে বাঁচতে ইচ্ছা করে।’ফেসবুক
![একটা সময় জন্মদিনে কেক কাটা ও নানা আয়োজন থাকলেও কয়েক বছর ধরে এই দিনটায় কেক কাটেন না। কারণ হিসেবে জয়া জানান, ২০১৭ সালের এই দিনে হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর থেকে জন্মদিনে কোনো কেক কাটেন না। তাঁর মতে, ‘জঘন্যতম এই ঘটনা তাঁর জীবনে কালিমা লেপে দিয়েছে। জানি না কবে এই ঘটনার ট্রমা থেকে বের হতে পারব। আমি সেদিনের ঘটনার কথা মনে করতে চাই না। তবুও জন্মদিন এলে শুধু মনে পড়ে যায়। একটা কালো অধ্যায় সামনে এসে পড়ে।’](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2023-05%2Fdcecaf4e-fff6-4545-87b7-7c6e57db7191%2F349564529_792716592432887_5740572729009116769_n.jpg?auto=format%2Ccompress&fmt=webp)
একটা সময় জন্মদিনে কেক কাটা ও নানা আয়োজন থাকলেও কয়েক বছর ধরে এই দিনটায় কেক কাটেন না। কারণ হিসেবে জয়া জানান, ২০১৭ সালের এই দিনে হোলি আর্টিজানের ঘটনার পর থেকে জন্মদিনে কোনো কেক কাটেন না। তাঁর মতে, ‘জঘন্যতম এই ঘটনা তাঁর জীবনে কালিমা লেপে দিয়েছে। জানি না কবে এই ঘটনার ট্রমা থেকে বের হতে পারব। আমি সেদিনের ঘটনার কথা মনে করতে চাই না। তবুও জন্মদিন এলে শুধু মনে পড়ে যায়। একটা কালো অধ্যায় সামনে এসে পড়ে।’ফেসবুক
![জন্মদিনে জয়া কেক না কাটলেও ভালোবেসে অনেকে তাঁর বাড়ির ঠিকানায় পাঠায় অনেক কেক। জয়া জানালেন, দু-একটি বাদে বাসায় আসা সব কটি কেক বিল্ডিংয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সবাইকে দিয়ে থাকেন। তাঁর আশপাশে যাঁরা সব সময় কেক খেতে পারেন না, তাঁদেরও দেন।](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2023-04%2F0b5fa077-2dcd-4713-8c41-808f0f5f3899%2F342166968_238546345358906_7224542452360800227_n.jpg?auto=format%2Ccompress&fmt=webp)
জন্মদিনে জয়া কেক না কাটলেও ভালোবেসে অনেকে তাঁর বাড়ির ঠিকানায় পাঠায় অনেক কেক। জয়া জানালেন, দু-একটি বাদে বাসায় আসা সব কটি কেক বিল্ডিংয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সবাইকে দিয়ে থাকেন। তাঁর আশপাশে যাঁরা সব সময় কেক খেতে পারেন না, তাঁদেরও দেন।ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
![এক জন্মদিনে জয়া প্রথম আলোকে জানিয়েছিলেন, সাধারণত জন্মদিনে অনেক বছর ধরে তিনি রাস্তার কুকুরদের খাওয়ান। এটা শুধু তাঁর একার জন্মদিন নয়, বাড়ির যে কারও জন্মদিনেই তা করেন। কথায় কথায় জয়া আরও জানালেন, ‘যত দূর মনে পড়ে জন্মদিনটা তাঁর কখনোই সেভাবে ঘটা করে উদ্যাপন করা হয় না। নায়িকারা জন্মদিনের কেক কাটে, এটা তাঁর ভালো লাগে না, হাস্যকর লাগে।’](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2023-02%2Fc1c8eca8-e4ee-41da-9b0f-8892a6476d88%2F330146775_586361299684373_3721461107745400230_n.jpg?auto=format%2Ccompress&fmt=webp)
এক জন্মদিনে জয়া জানিয়েছিলেন, সাধারণত জন্মদিনে অনেক বছর ধরে তিনি রাস্তার কুকুরদের খাওয়ান। এটা শুধু তাঁর একার জন্মদিন নয়, বাড়ির যে কারও জন্মদিনেই তা করেন। কথায় কথায় জয়া আরও জানালেন, ‘যত দূর মনে পড়ে জন্মদিনটা তাঁর কখনোই সেভাবে ঘটা করে উদ্যাপন করা হয় না। নায়িকারা জন্মদিনের কেক কাটে, এটা তাঁর ভালো লাগে না, হাস্যকর লাগে।’
![পাঁচ বছর বয়সের জন্মদিনে জয়া তাঁর বন্ধুর কাছ থেকে একটি উপহার পেয়েছিলেন, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ। কোনো উপহারই সেই সারপ্রাইজ আজও অতিক্রম করেনি। জয়া বলেন, ‘একদম ছোটবেলায়, আমার বয়স খুব সম্ভবত পাঁচ বছর হবে। কলাবাগান থাকতাম, আমার নানুবাড়ির নিচতলায় একজন ভাড়াটে থাকত, ওই পরিবারে শম্পা নামের একজনের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হয়েছিল। পাঁচ বছরের সেই বন্ধু আমাকে উপহারটা দিয়েছিল। মাঝারি সাইজের খুব সুন্দর একটা মাটির চুলা। কী যে খুশি হয়েছিলাম, বলে বোঝাতে পারব না। অতটা খুশি আমি আজ পর্যন্ত কোনো কিছুতেই হইনি।’ সেই বন্ধুর সঙ্গে এখন আর কোনো যোগাযোগ হয় না জয়ার।](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2023-06%2Fc744c532-65c6-43e3-809c-d4164e43946b%2F345626643_1459801391440915_2278434582028485872_n.jpg?auto=format%2Ccompress&fmt=webp)
পাঁচ বছর বয়সের জন্মদিনে জয়া তাঁর বন্ধুর কাছ থেকে একটি উপহার পেয়েছিলেন, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ। কোনো উপহারই সেই সারপ্রাইজ আজও অতিক্রম করেনি। জয়া বলেন, ‘একদম ছোটবেলায়, আমার বয়স খুব সম্ভবত পাঁচ বছর হবে। কলাবাগান থাকতাম, আমার নানুবাড়ির নিচতলায় একজন ভাড়াটে থাকত, ওই পরিবারে শম্পা নামের একজনের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হয়েছিল। পাঁচ বছরের সেই বন্ধু আমাকে উপহারটা দিয়েছিল। মাঝারি সাইজের খুব সুন্দর একটা মাটির চুলা। কী যে খুশি হয়েছিলাম, বলে বোঝাতে পারব না। অতটা খুশি আমি আজ পর্যন্ত কোনো কিছুতেই হইনি।’ সেই বন্ধুর সঙ্গে এখন আর কোনো যোগাযোগ হয় না জয়ার।
![২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ দিয়ে কলকাতার সিনেমায় অভিনয় শুরু হয়েছিল জয়া আহসানের। এরপর গত ১০ বছরে করেছিলেন আরও বেশ কয়েকটি সিনেমা। গত কয়েক বছরে ‘বিজয়া’, ‘কণ্ঠ’, ‘রবিবার’, ‘বিনিসুতোয়’, ‘ঝরা পালক’, ‘অর্ধাঙ্গিনী’—পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক প্রশংসিত সিনেমায় দেখা গেছে জয়া আহসানকে। সে তুলনায় বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া সিনেমার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। কলকাতায় কাজ করে জয়ার বড় পাওয়া কী? এ প্রশ্নের উত্তরে জয়া বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় একটা দেশ পেয়ে গিয়েছি। ছোটবেলা থেকে এত গল্প শুনেছি, ইন্ডিয়াকে কখনো আলাদা একটা দেশ ভাবতাম না। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি বলতেন ইন্ডিয়া আমাদেরই দেশ। বাবা সব সময় দুই দেশের কথা বলতে গিয়ে “আমরা” করেই বলতেন।’ ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবির প্রচারে চূর্ণী গাঙ্গুলি ও জয়া আহসান।](https://images.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2023-06%2Fdf1c77c3-85b2-4b2b-a06a-1dcdb2964458%2F350959596_582491953953691_3724647194219175480_n.jpg?auto=format%2Ccompress&fmt=webp)
২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ দিয়ে কলকাতার সিনেমায় অভিনয় শুরু হয়েছিল জয়া আহসানের। এরপর গত ১০ বছরে করেছিলেন আরও বেশ কয়েকটি সিনেমা। গত কয়েক বছরে ‘বিজয়া’, ‘কণ্ঠ’, ‘রবিবার’, ‘বিনিসুতোয়’, ‘ঝরা পালক’, ‘অর্ধাঙ্গিনী’—পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক প্রশংসিত সিনেমায় দেখা গেছে জয়া আহসানকে। সে তুলনায় বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া সিনেমার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। কলকাতায় কাজ করে জয়ার বড় পাওয়া কী? এ প্রশ্নের উত্তরে জয়া বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় একটা দেশ পেয়ে গিয়েছি। ছোটবেলা থেকে এত গল্প শুনেছি, ইন্ডিয়াকে কখনো আলাদা একটা দেশ ভাবতাম না। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি বলতেন ইন্ডিয়া আমাদেরই দেশ। বাবা সব সময় দুই দেশের কথা বলতে গিয়ে “আমরা” করেই বলতেন।’ ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ছবির প্রচারে চূর্ণী গাঙ্গুলি ও জয়া আহসান।ফেসবুক