‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ স্লোগানে কাল শনিবার বরিশালে বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বেলা তিনটায় এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সমাবেশ সফল করতে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সমাবেশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, তিনটি তরুণ সংগঠনের উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে দেশের ছয় বিভাগীয় শহরে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁরা মাঠে নেমেছেন। আগামী দিনে বাংলাদেশকে বসবাসের উপযোগী ও সবাই যাতে সমান অধিকার নিয়ে থাকতে পারে, সে লক্ষ্যে এই সমাবেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তরুণ সমাজকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ করতেই এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
তারুণ্যের এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন সুলতান সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, হিজলায় হামলা হয়েছে। যাঁরা হামলার শিকার হয়েছেন, তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ন্যায়সংগত দাবিতে মাঠে নামলে খুন–গুম করা হচ্ছে। সব মানুষ এই সরকারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এর থেকে মানুষকে পরিত্রাণ দিতে তারুণ্যের এই সমাবেশের আয়োজনে করা হয়েছে।
বিএনপির তিন সংগঠন তারুণ্যের সমাবেশ করবে ছয় শহরে
সুলতান সালাউদ্দিন বলেন, ‘এই সরকার দেশের গণতন্ত্র, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাই গণতন্ত্র ও দেশের কথা চিন্তা করে যুব ও তরুণ সমাজ জাগ্রত হয়ে সমাবেশে যোগ দেবেন। আমরা বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ ও বাস উপযোগী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যেটা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’স্লোগান হবে সমাবেশের মূল প্রতিপাদ্য। সমাবেশের প্রচারপত্রেও এ স্লোগান থাকবে। তবে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্দলীয় সরকারের অধীন সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি সামনে আনবে আয়োজক তিন সংগঠন।