জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আর হবে না। একই ধরনের পাঠ্যসূচিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বার্ষিক পরীক্ষা নেবে। এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই সনদ দেওয়া হবে। শিক্ষা বোর্ড থেকে কোনো সনদ দেওয়া হবে না। তবে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) কার্যক্রম থাকবে। মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে চলতি বছরের মতো আগামী বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও হবে পরিমার্জিত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে। তবে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা স্বাভাবিক পাঠ্যসূচিতে হবে। সভায় উপস্থিত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বছর যে পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হচ্ছে, আগামী বছরও সেই পাঠ্যসূচিতে এইচএসসি পরীক্ষা হবে।
সভায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সর্বোচ্চ বয়স ২৫ বছর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে এ বিষয়ে কোনো নীতিমালা ছিল না। আর অন্যদের পরীক্ষা দেওয়ার সর্বোচ্চ বয়স ২০ বছরই রাখা হয়েছে।
সভায় শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।