ইউক্রেনে যুদ্ধ অস্ত্রসহ নানা সামরিক সরঞ্জাম, ত্রাণ দিয়ে পাশে রয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনে সাহায্যের হাত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা। এ জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স আলাদা আলাদা অনুদান ও ঋণ ঘোষণা করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বেশকিছু দিন ধরেই দেশ পুনর্গঠনে অর্থ সাহায্য চাইছিলেন। আজ বুধবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ‘ইউক্রেন রিকভারি কনফারেন্সে’ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড্যানিস শিমহাল বলেন, যুদ্ধের কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে আগামী এক বছরে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার দরকার।
তবে ড্যানিসের এই বক্তব্যের আগে গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত তারা মোট ৫ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার দেবে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০০ কোটির বেশি ডলার দেওয়া হবে অনুদান হিসেবে। আর বাকি অর্থ দেওয়া হবে ঋণ হিসেবে। তবে এর সুদ খুবই কম হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও নতুন অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে নতুন করে ১৩০ কোটি ডলার অনুদান দেওয়া হবে। এর মধ্যে জ্বালানি খাতে ৫২ কোটি এবং অন্যান্য খাতে ৬৫ কোটি ডলার ব্যয় করতে পারবে ইউক্রেন। এ ছাড়া ইউক্রেনের বিভিন্ন ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নে ১০ কোটি ডলার দেওয়া হবে। আরও কয়েক খাতের জন্য তিন কোটি ডলার বরাদ্দ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
একক দেশ হিসেবে সবচয়ে বড় প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ইউক্রেনকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ ও অনুদান দেবে। এর বাইরে মধ্যে ৩১ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। একই সঙ্গে ২৪ কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই অর্থ ত্রাণ, জ্বালানি খাত, পুঁতে রাখা বোমা সরিয়ে নিতে ব্যবহার করতে পারবে ইউক্রেন।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে তিনি পৃথক ফ্রেমওয়ার্ক চালু করবেন, যাতে ইউক্রেনের ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে তাঁরা পিছপা না হন।
এদিকে ফ্রান্স বলছে, তারা আগের প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে ৪০ কোটি ডলার দেবে। স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে এই অনুদান ব্যবহার করতে পারবে ইউক্রেন সরকার।
ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ জার্মানির পরারাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানান, তারা ইউক্রেনকে ৪১ কোটি ডলার দেবে অনুদান হিসেবে। এই অর্থ মানবিক সহায়তার জন্য ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।