সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের বাড়িতে গেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে বকশীগঞ্জের নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের গোমেরচর গ্রামে নাদিমের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের পাশে আছে বলে জানান।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নাদিম হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে যা দেখে ভবিষ্যতে আর কোনো মানুষ সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার সাহস দেখাবে না। পরে তিনি নাদিমের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। সাধুরপাড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃতে সন্ত্রাসীরা বকশিগঞ্জ সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় মোটরসাইলের গতিরোধ করে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে ১০-১২ জন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়। তাকে প্রথমে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে আনা হয়েছে বকশীগঞ্জ থানায়।