সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি আবারও বিপৎসীমা থেকে নেমেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছিল। আজ সোমবার সকালের হিসাব অনুযায়ী, নদীর ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা থেকে নেমেছে। তবে জেলার অন্য নদ-নদীতে পানি বাড়ছে।
সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকাল ৬টা থেকে যা ১২ দশমিক ৬১ সেন্টিমিটারে নেমেছে। আর সকাল ৯টায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১২ দশমিক ৬৭ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানি ৯ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ৯টায় সিলেট পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ৯টায় নদীর ওই পয়েন্টে পানি ১১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। সেখানে আজ সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ৮ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। গতকাল ওই পয়েন্টে ৮ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার, সেখানে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানি ১১ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকাল ৯টায় সেটি ছিল ১১ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। লুভা নদীর লুভাছড়া পয়েন্টে গতকাল ১৩ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। আজ সকাল ৯টায় সেখানে পানি কিছুটা কমে ১৩ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি আছে জানিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এরই মধ্যে জানানো হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সিলেটে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে জানিয়ে সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।