সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনও সময় আছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। তা না হলে যতই চেষ্টা করুন পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। পালানোর পথ শুধু আমেরিকা বন্ধ করেনি। এ দেশের জনগণও বন্ধ করে দেবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গোপীবাগে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যুতের লোডশেডিং, বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি পৃথকভাবে এ পদযাত্রা কর্মসূচি আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের সঙ্গে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে লড়াই করেছিলেন। খালেদা জিয়া যখন দেখলেন এটা জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে তিনি সেটা মেনেও নিলেন। আপনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় এসে সুযোগ বুঝে আদালতকে ব্যবহার করলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, এরপর দেখুন কার কত শক্তি! জনগণের শক্তি যদি দেখতে হয় তাহলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সবাই মুক্তিযুদ্ধ করে এ দেশটাকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু সেই দেশে কথা বলার অধিকার নেই। নিরাপত্তা নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে সরকার বেকায়দায় আছে। এখন তারা পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনছে। আবার সেই টাকায় আড়াই শতাংশ ইনসেনটিভ দিতে হচ্ছে। এখন টাকা পাচারকারীদের পুরষ্কার দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন চুরি করেও পুরষ্কার পাওয়া যায়।
প্রয়াত সিরাজুল আলম খানের অবদানকে অস্বীকার করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, একজন ঐতিহাসিক ক্ষনজন্মা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ইতিহাসে তার অবদানকে আওয়ামী লীগ সরকার অস্বীকার করছে। তাকে শেষ সময়ে একটা মর্যাদা দিয়ে একটা শোক বাণী পর্যন্ত দেয়নি।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের পর রাজধানীর গোপীবাগ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে সাদেক হোসেন খোকা রোড থেকে রায় সাহেব চৌরাস্তা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।