ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা রমনা থানার মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ মঙ্গলবার তিনি হাজিরা দেন।
শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জানান, রমনা থানার মামলায় আগামী ২৭ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। প্রতিবেদন দাখিলের আগপর্যন্ত শামসুজ্জামানের জামিনের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার তেজগাঁও থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শামসুজ্জামান হাজিরা দেন।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে সাভারে কর্মরত শামসুজ্জামানকে গত ২৯ মার্চ ভোরে সিআইডির পরিচয়ে তুলে নেন একদল ব্যক্তি। ওই দিন রাতে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন একজন।
তুলে নেওয়ার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা রমনা থানার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করা হয়।
শামসুজ্জামান ৩ এপ্রিল সিএমএম আদালত থেকে জামিন পান। আর ৯ এপ্রিল তেজগাঁও থানার মামলায় জামিন পান তিনি।
রমনা থানার মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকেও আসামি করা হয়। প্রথম আলোর সম্পাদক ওই মামলায় ২ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পান। এরপর ৩ মে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি জামিননামা দাখিল করেন। আদালত আগামী ১৬ আগস্ট জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। প্রথম আলো সম্পাদকের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ওই দিন বলেছিলেন, ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সম্পাদক জামিনে থাকবেন।
শামসুজ্জামানের পক্ষে তাঁর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেছিলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে মামলাটি মধ্যরাতে করা হয়েছে। তেজগাঁও থানার মামলার বাদী রাজধানীর ফার্মগেটের আল-রাজী হাসপাতালের সামনে নিজের মুঠোফোনে কথিত ঘটনাটি (এজাহারের অভিযোগ) সম্পর্কে জানেন। এ এজাহারে মুঠোফোন নম্বর উল্লেখ নেই। এমনকি এজাহারের সঙ্গে সংযুক্ত তথ্যাদি একই সময়, অর্থাৎ মধ্যরাতে কোন উৎস থেকে তিনি সংগ্রহ করলেন, তার বর্ণনাও নেই। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে শামসুজ্জামান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার অধীন কথিতমতে কোনো অপরাধ করেননি।