দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি নারী নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল শনিবার দেশটির ন্যায়পাল দপ্তরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ন্যায়পাল দপ্তরের প্রতিবেদনটির শিরোনাম—‘তাদের সঙ্গে কী ঘটেছে?’। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম ৪ মাসে পেরুতে ৩ হাজার ৪০৬ নারীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিখোঁজ নারীদের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৯০২ জনকে পাওয়া গেছে। বাকি ১ হাজার ৫০৪ জন এখনো নিখোঁজ।
দেশটির ন্যায়পাল দপ্তরের উপপ্রধান ইসাবেল অরটিজ বলেন, পেরুর অবস্থা, অর্থাৎ নারীদের এভাবে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিকে আসন্ন বিপদের একটি পরিস্থিতি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে।
ইসাবেল আরও বলেন, ৩ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশ পেরুতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিবছরই ঘটে চলছে। কিন্তু রাষ্ট্র তা রোধ করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
পেরুর ন্যায়পাল দপ্তরের উপপ্রধান বলেন, রাষ্ট্র গুমের (অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপহরণ) বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না।
পেরুতে ২০২২ সালে ৫ হাজার ৩৮০ জনের বেশি নারী নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়, যাঁদের অধিকাংশ মেয়ে ও কিশোরী। যদিও এ সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশ কম ছিল।
বিভিন্ন নারীবাদী এনজিওর মতে, পুলিশ ও সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় অনেক মামলা যথাযথভাবে তদন্ত করে না। কারণ, তারা মনে করে, এই নারীরা স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছেন।