ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের গবেষণা প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে অধিকতর তদন্ত কমিটি

0
162
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষকের গবেষণা প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ অধিকতর তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভা থেকে এ কমিটি করা হয়। সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই সিন্ডিকেট সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। সভায় গবেষণা ও প্রকাশনায় স্বচ্ছতা-নৈতিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেইজারিজম’ শীর্ষক একটি নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সিন্ডিকেট।


সিন্ডিকেটের দুজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোসা. রেবেকা সুলতানা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের জার্নাল অব সোশিওলজির (সমাজবিজ্ঞান পত্রিকা) ২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সংখ্যায় একটি প্রবন্ধ লেখেন।

গত বছরের নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও নাজমুল করিম স্টাডি সেন্টারের সভাপতি মো. আখতারুজ্জামানের কাছে একটি চিঠি লেখেন। ফরিদ আহমেদ তাঁর চিঠিতে প্রবন্ধটিতে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তোলেন।

বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। ফরিদ আহমেদ দাবি করেন, প্রবন্ধটিতে রেবেকা সুলতানা কমপক্ষে ৫৩ শতাংশ চৌর্যবৃত্তি করেছেন।

সিন্ডিকেটের ওই দুই সদস্য আরও বলেন, ‘চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি সত্যানুসন্ধান (ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং) কমিটি করা হয়েছিল। কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা জানায়। এখন বিষয়টি অধিকতর তদন্তে গতকালের সিন্ডিকেট সভা থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হলো। কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল।’

এ বিষয়ে জানতে রেবেকা সুলতানার মুঠোফোনে আজ সকাল ১০টার দিকে একাধিকবার কল করা হয়। তবে প্রতিবারই সেটি ব্যস্ত পাওয়া যায়। পরে তিনি কলব্যাকও করেননি।

এক শিক্ষকের শাস্তি নির্ধারণে ট্রাইব্যুনাল

অনুমোদন ছাড়া দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ক্ষণিকা গোপের শাস্তি নির্ধারণে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। গতকালের সিন্ডিকেট সভা থেকে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বলেন, বিনা অনুমতিতে দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ক্ষণিকা গোপের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। গতকালের সিন্ডিকেট সভায় কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সভায় ক্ষণিকা গোপের শাস্তি নির্ধারণে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে গত বছরের অক্টোবরে ক্ষণিকা গোপ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.