সরকার ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে: মির্জা ফখরুল

0
155
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সরকারবিরোধী দলের সাড়ে ১৩০০ মামলা নিয়ে সরকার মাঠে নেমেছে, যাতে আগামী নির্বাচনের আগে কিভাবে এ মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে বিএনপি নেতাদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠনোর যায় এবং নির্বাচনে তারা প্রতিপক্ষ ছাড়া খালি মাঠে গোল দিতে পারে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন৷

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেছে। অত্যন্ত ক্ষোভ ও বেদনার সাথে লক্ষ্য করছি, যে মামলা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন, পুনরায় শুনানি করে সেসব মামলায় রাজনৈতিক নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, মৃত্যু ঘনিয়ে আসার আগে যখন আর কোনোরকম আশা থাকে না, তখন মানুষ যে কোনো কিছু আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করে। সরকার হামলা-মামলা দিয়ে সে চেষ্টাই করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একইভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী ড. জেবাইদা রহমানের ২০০৭ সালের মামলাগুলো চালু করা হয়েছে। আত্মপক্ষের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতে কথা বলতে চাইলে তাদের ওপর সরকারী দলের আইনজীবীরা হামলা করে এবং পুলিশ দিয়ে নির্যাতন চালায়। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সরকার নোংরা ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়াকে মামলা খালাস দেওয়া হয়েছে। অথচ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও তার স্ত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি সারাদেশে বিএনপির ৭ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, গত ১২ দিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৫২টি নতুন মামলা হয়েছে। এসব মামলার আসামি সাড়ে ৫ হাজার। ভয়-ত্রাস সৃষ্টি করে সরকার একই কায়দায় নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়। কিন্তু মানুষ এবার তা সফল হতে দেবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারকে সরানো যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা হামলা মামলা দিয়ে দমানো যাবে না। তারা আমাদের কর্মসূচিতে আগ বাড়িয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে। এরপরও উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। কেরানীগঞ্জ আমাদের নিপুণ রায়কে মেরে আহত করা হলো, অথচ তাকেই আবার মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, যুুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.