নির্যাতন যত বাড়বে আন্দোলন তত তীব্র হবে: নজরুল ইসলাম খান

0
107
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন যত বাড়বে, আন্দোলনের গতি তত তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান

তিনি বলেন, বহু বছর ধরেই দেখছি, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে সরকার তাদের ওপর নিপীড়ন চালায়। তাদের ওপর আক্রমণ করে, মিথ্যা মামলা দেয়, গ্রেপ্তার করে হয়রানি করে। এসব অপরাধ করার পরেও এই সরকার দাবি করে তাদের হাতেই নাকি গণতন্ত্র নিরাপদ। আসলে এই সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক নিপুণ রায়ের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়েছে, গুরুতর আহত করেছে। কিন্তু নিপুণ সাহস হারায়নি। অত্যাচার যত বাড়বে, অন্যায়ের প্রতিবাদ তত তীব্র হবে। আগামীতে যে বৃহত্তর আন্দোলন হবে সেখানে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

তিনি বলেন, এই দেশে ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না। নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনের যাতে বিরোধী দলের জনপ্রিয় নেতারা অংশ নিতে না পারে, সেজন্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনের বাইরে রাখার নতুন কৌশল নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রীকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৭০-এর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা কেউ বাইরে ছিলেন না। কিন্তু সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় লাভ করেছিল। স্বৈরাচার এরশাদ বিএনপির অনেক নেতাকে বাগিয়ে নিয়েছিলেন, যার কারণে ভালো প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপরও বিএনপি ৯১-এর নির্বাচনে জয় লাভ করে। সরকারকে বলব, বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের সাজা দিয়ে নির্বাচনের বাইরে রাখার কৌশল ভুল। বরং এই কৌশলের কারণে আওয়ামী লীগ আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

মানবন্ধনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য রবিউল ইসলাম রবির পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.