গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৫টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন। বেশির ভাগ কেন্দ্রেই ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
গাজীপুরে ৪৮০ কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইভিএমে ভোট হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও ইভিএম মেশিনে ত্রুটি হয়েছে। অনেক ভোটারের আঙুলের ছাপ মিলছে না। বয়স্ক ও নারী ভোটার ভোট দিতে কিছুটা সময় বেশি নিচ্ছেন। এ জন্য ভোট গ্রহণে ধীর গতি লক্ষ্য করা গেছে।
এই দুই প্রতিবেদক চান্দনা চৌরাস্তা, জয়দেবপুর, মূল শহর ও ছোট দেওড়া, লক্ষ্মীপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ১৪ কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল থেকে ভোটারের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা গেছে। কোথাও কোথাও ভর দুপুরে রোদের মধ্যে দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করেন ভোটারেরা। এর মধ্যে নারী, পুরুষ, বয়স্ক-তরুণ সব শ্রেণির ভোটার আছেন।
চান্দনায় ৯০ বছর বয়সী আতরজান বিবি দুই ছেলের বউ এর হাতে ভর করে ভোট দিতে আসেন। শহরের মদিনাতুল উলুম আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ১৯ বছর বয়সী রেবেকা সুলতানা প্রথমবার ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।ছোট দেওড়া কেন্দ্রে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
অবশ্য ইভিএমে অনেকে দ্রুত ভোট দিয়ে স্বস্তিপ্রকাশ করেছেন। ছোট দেওড়া কেন্দ্রে ভোটার শেখ কামাল বলেন, তাঁর ভোট দিতে ১০ সেকেন্ডের বেশি লাগেনি। হোসনে আরা নামে আরেক ভোটার বলেন, তিনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সেখানে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে হাজিরা দেন। ফলে ইভিএমে তাঁর কোনো সমস্যাই হয়নি।
তবে চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এক কেন্দ্রে বাতাসি নামে এক নারী ভোটার আধা ঘণ্টা চেষ্টা করেও আঙুলের ছাপ মেলাতে পারেননি।
বেলা দুইটা পর্যন্ত কোনো মেয়র প্রার্থী অনিয়মের বড় কোনো অভিযোগ করেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে কারও প্রতি চড়াও কিংবা কাউকে সুবিধা দেওয়ার মতো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রায় সব বুথে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের এজেন্ট দেখা গেছে। ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীর এজেন্ট ছিল অনেক কেন্দ্রে। তবে জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের এজেন্ট বেশির ভাগ কেন্দ্রে ছিল না।