রাজশাহী শহরের রিকশাচালক মাইনুজ্জামান সেন্টুর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন ‘নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে রিকশা চালানো সেন্টু এখন হাসপাতালে’ চিকিৎসাধীন এমন একটি সংবাদ গতকাল শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নজরে আসে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সেন্টু চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি শ্রম ও কর্মসংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে তাঁর চিকিৎসা সহায়তার ঘোষণা দেন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের রাজশাহীর মো. আরিফুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফুসফুসের সমস্যায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মাইনুজ্জামান সেন্টুর চিকিৎসার খোঁজখবর রাখছেন।
নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে রিকশা চালানো সেন্টু এখন হাসপাতালে
শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেওয়া হয়।
পাঁচ বছর আগে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি রিকশা কিনেছিলেন মাইনুজ্জামান। দুই বছরের মাথায় নগরের ঘোষপাড়ার মোড়ে রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। পরে আবার ঋণ করে আরেকটি রিকশা কিনে সেটি চালাতেন।
এরই মধ্যে হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারের জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা ঋণ করতে হয় তাঁর। প্রতি সপ্তাহে দুই জায়গায় ১ হাজার ৩৫০ টাকা করে কিস্তি দিতে হয়। দিনে তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে। ওষুধ ও অক্সিজেন মিলে তার দিনে ৬০০ টাকা খরচ হয়।
দুই মাস ধরে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অক্সিজেন ছাড়া চলতে পারছিলেন না। সর্বশেষ দুই দিন নাকে অক্সিজেনের নল নিয়েই রিকশা চালিয়েছেন। গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি হন।