না বলতে শিখেছেন সোনাক্ষী

0
118
সোনাক্ষী সিনহা, ইনস্টাগ্রাম

চলচ্চিত্রজগতে এক দশক পার করেছেন সোনাক্ষী সিনহা। সময়ের সঙ্গে তাঁর মানসিকতায় অনেকটাই বদল এসেছে। আর তাই দাহাড়-এর মতো প্রকল্প লুফে নিতে দেরি করেননি এই তারকাকন্যা। সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পেয়েছে রীমা কাগতি আর জোয়া আখতারের ক্রাইম থ্রিলার ‘দাহাড়’। আর এই ওয়েব সিরিজে সত্যিই সোনাক্ষীর পারফরম্যান্স রীতিমতো সাড়া ফেলেছে। গত রোববার মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে সোনাক্ষী সিনহার মুখোমুখি হয়েছিলেন দেবারতি ভট্টাচার্য

অন্য ধারার চরিত্রেই সোনাক্ষীকে এখন বেশি দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে সোনাক্ষী বলেন, ‘ইদানীং মনের মতো চিত্রনাট্য পাচ্ছিলাম না। আর তাই না বলতে বাধ্য হচ্ছিলাম। আসলে ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার দৃষ্টিভঙ্গি এখন বদলেছে। শক্তিশালী নারী চরিত্র আমাকে এখন বেশি উৎসাহিত করে। চ্যালেঞ্জিং চরিত্র ছাড়া মজা পাই না। তাই দাহাড়-এর প্রস্তাব আসতেই আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি।’

‘আকিরা’, ‘ফোর্স টু’র পর আবার ‘দাহাড়’-এ এক লড়াকু চরিত্রে সোনাক্ষী। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি অ্যাকশনধর্মী ছবি ভালোবাসি। কারণ, এ জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এই ধারার ছবিতে নতুন কিছু করার সুযোগ থাকে। এই সিরিজের জন্য আমাকে বাইক চালানো শিখতে হয়েছে। জুডোর নতুন এক কৌশল শিখেছি।’

সোনাক্ষী সিনহা
সোনাক্ষী সিনহা, ইনস্টাগ্রাম

নিজের ১৩ বছরের ফিল্মি ভ্রমণ প্রসঙ্গে সোনাক্ষী বলেন, ‘সব মিলিয়ে এক সুন্দর ভ্রমণ। ভালো–মন্দ মেশানো এই ভ্রমণ থেকে কিছু না কিছু শিখেছি। কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা আর পেশাদারির জন্য আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি।’

‘দাহাড়’-এ ‘অঞ্জলি ভাটি’র মতো দাপুটে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্র করেছেন, বাস্তবে তিনি কেমন, জানতে চাইলে হেসে উঠলেন সোনাক্ষী, ‘আমার মন্ত্র হলো মাথা ঠান্ডা রাখা। আমি খুব শান্ত প্রকৃতির মেয়ে। কখনো বেশি চাপ নিই না। এতে কাজেরই ক্ষতি হয়। তাই আমি মাথা ঠান্ডা রাখায় বিশ্বাসী। আর সব সময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি আমার সব ছবিকে প্রথম ছবি হিসেবে দেখি। এভাবে আরও শিখতে চাই। আরও পথ চলতে চাই।’

নির্মাতা, অভিনেতারা এখন ওটিটির দিকে বেশি ঝুঁকছেন। এ প্রসঙ্গে সোনাক্ষী বলেন, ‘এটা অন্য এক দুনিয়া। এখানে শুধু অভিনেতা নন, প্রযোজকেরাও সুরক্ষিত। এখানে বক্স অফিস আয়ের কোনো চাপ থাকে না। কোভিডের সময় থেকে ওটিটি আরও ফুলেফেঁপে উঠেছে। এখানে ব্যতিক্রম সব কনটেন্ট দেখা যায়। সবার সামনে নতুন এক দরজা খুলে গেছে। সবাই এখন কাজ পাচ্ছেন। তবে বড় পর্দার অন্য এক আকর্ষণ আছে।’

সোনাক্ষী সিনহা
সোনাক্ষী সিনহা, ইনস্টাগ্রাম

বাস্তব জীবনে সোনাক্ষী কার থেকে বেশি শক্তি পান? তিনি বলেন, ‘সব শক্তি আমার মা–বাবার থেকে পাই। বাবা আমাকে আত্মবিশ্বাস আর উৎসাহ দেন। আর মা সব সময় পাশে থাকেন। আমার মনে হয়, প্রত্যেক মেয়ের জন্যই এটা জরুরি।

সোনাক্ষী সিনহা
সোনাক্ষী সিনহা, ইনস্টাগ্রাম

এমন মা–বাবা পেয়ে নিজেকে আমি ধন্য মনে করি।’ দাহাড় দেখে মা-বাবার প্রতিক্রিয়া কী? এই বলিউড নায়িকা বলেন, ‘তাঁরা তো দারুণ খুশি। মা-বাবা সব সময় বলতেন যে আমি যা করব, তাতেই তাঁরা গর্ব বোধ করবেন। তবে বাবা একটু বেশি খুশি বলতে পারেন। কারণ, বাবা চাইতেন যে বড় হয়ে আমি যেন পুলিশ কর্মকর্তা হই। শুটিংয়ের প্রথম দিন পুলিশের পোশাক পরা ছবি বাবাকে পাঠিয়েছিলাম। আর বাবা আমাকে পুলিশের পোশাকে দেখে দারুণ খুশি হয়েছিলেন।’

দাহাড়’-এ ‘অঞ্জলি ভাটি’র মতো দাপুটে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্র করেছেন
দাহাড়’-এ ‘অঞ্জলি ভাটি’র মতো দাপুটে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্র করেছেনইনস্টাগ্রাম

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.