রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

0
130
শেষ ওভারে উইকেট নিয়ে দলকে জয় এনে দেওয়া হাসান মাহমুদকে ঘিরে উচ্ছ্বাস।

ম্যাচের লাগাম ছিল আইরিশদের হাতে। জয় ছিল সময়ের ব্যাপার। ওই জয় ছিনিয়ে এনেছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে চেমসফোর্ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে সুপার লিগের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন ভাঙে আয়ারল্যান্ডের। দ্বিতীয় ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করে শেষ ওভারে অসাধারণ এক জয় তুলে নেন টাইগাররা। রোববার শেষ ম্যাচেও বুক কাঁপিয়ে জিতল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। অভিষিক্ত ওপেনার রনি তালুকদার (৪) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। এরপর তামিম-শান্ত-লিটনরা সেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তাদের ছোট ছোট সংগ্রহে সাত বলতে থাকতে অলআউট হওয়ার আগে ২৭৪ রান তোলে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৬৯ রান যোগ করেন। শান্ত ও চারে নামা লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ করে রান। এছাড়া মুশফিক ৪৫ ও মেহেদি মিরাজ ৩৭ রান যোগ করেন।

জবাব দিতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় আইরিশরা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে শতক ছাড়ানো জুটি গড়েন আন্দ্রে বালবির্নি ও পল র্স্টালিং। তারা ফেরার পরে ম্যাচের লাগাম হাতে নেন হ্যারি টেক্টর ও লরকান টাকার। তাদের জুটিতে জয় দেখছিল আইরিশরা।

নাজমুল শান্ত বল হাতে নিয়ে ওই জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু দেন। টেক্টর ৪১.৫ ওভারে ফিরে যান দলের ২২৫ রানে। স্বাগতিকরা জয় হতে তখন ৫০ রান দূরত্বে। মুস্তাফিজ ৪৩তম ওভারে কার্টুস ক্যাম্পার ও ৪৫তম ওভারে জর্জ ডকরেলকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন। ৪৭তম ওভারে ৫০ রান করা টাকারকে বোল্ড করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন।

শেষে ১০ বলে ২০ রান করে ভয় ধরিয়েছেন মার্ক এডায়ার। পথের ওই কাঁটা সরান হাসান মাহমুদ। শেষ ম্যাচে দলে ফেরা মুস্তাফিজ ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন। এছাড়া হাসান নেন দুই উইকেট। আইরিশদের হয়ে মার্ক এডায়ার নেন ৪ উইকেট। এই জয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে সুপার লিগে দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ডের সমান ১৫৫ পয়েন্ট তুলেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.