কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন হত্যা মামলায় এবার দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামের মো. মাসুদকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাসুদ দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই।
গতকাল বুধবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে নেওয়া হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজেস বড়ুয়া বলেন, জামাল হোসেন হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র বরকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের (বর্তমানে সাময়িক বহিষ্কৃত) জিম্মায় ছিল। গ্রেপ্তার মাজহারুল এলাকায় মাসুদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনার সঙ্গে মাসুদের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাসুদ বিদেশে পাড়ি দিচ্ছিলেন। ওই খবর পেয়ে তাঁরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। আজ বিকেলে তাঁকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হবে। তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ‘বোরকা পরা এক অস্ত্রধারীসহ’ গ্রেপ্তার আরও ৩
এ নিয়ে জামাল হোসেন হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় তিনজন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ আসামির তিন দিনের রিমান্ড চলছে।
থানা-পুলিশ জানায়, গত ৩০ এপ্রিল রাত আটটার পর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর পশ্চিম বাজার বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকার একটি বেকারির সামনে বোরকা পরা তিনজন গুলি করে জামাল হোসেনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় নিহত জামাল হোসেনের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।